নিজস্ব সংবাদদাতা, কুলটি: কুলটি থানার অন্তর্গত ইস্কো কারখানায় চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়া দুই যুবককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিআইএসএফের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছু দুষ্কৃতী চুরি করতে কারখানায় ঢুকে পড়ে।
এর মধ্যে দুই যুবককে সিআইএসএফ আটক করে এবং বেধড়ক মারধর করে। মারধরের ফলে একজন যুবক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে এবং আরেকজন গুরুতর আহত হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে কুলটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত যুবককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে এবং আইএসপি কারখানার গেট ও কুলটি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
বিক্ষোভকারীরা আহত যুবকের একটি ভিডিও দেখায় যেখানে আহত যুবক পরিষ্কার জানায়, তারা চুরি করতে গিয়েছিল এবং ৯-১০ জন সিআইএসএফ কর্মী তাদের দুজনকে ধরে নির্মমভাবে মারধর করে এবং বাইরে ফেলে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, যদি তারা চুরির সঙ্গে জড়িতও থাকে, তবুও তাদের আইন অনুযায়ী পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত ছিল, সিআইএসএফের এইভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার নেই। মৃত যুবকের নাম বিকি রবিদাস (৩০)।
ঘটনার পর বিজেপির কুলটি বিধায়ক অজয় পোদ্দারও ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভে যোগ দেন এবং বলেন, “এটি সম্পূর্ণ অন্যায়। চুরির অভিযোগে কেউ ধরা পড়লেও তাকে আইনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত, নিজেদের হাতে আইন তুলে নেওয়া উচিত নয়।”
এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা দাবি তুলেছে যে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া দরকার এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে পুরো ঘটনাটি তদন্তের অধীনে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।