কুলটি, সত্যেন্দ্র যাদবের প্রতিবেদন: আসন্ন ছট পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে সোমবার বরাকর ফাঁড়ি প্রাঙ্গণে একটি শান্তি কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে ছট পূজার ছয়টি কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের নেতৃত্ব দেন বরাকর ফাঁড়ি ইনচার্জ সুকান্ত দাস, যিনি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বিশদ তথ্য দেন।
সুকান্ত দাস জানান যে, বরাকর রেল ব্রিজের নিকটবর্তী বিপজ্জনক এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হবে এবং সেখানে ডুবুরি ও নৌকার ব্যবস্থা রাখা হবে, যাতে ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া, স্থানীয় পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল সিপিএইচএফের জওয়ানদের সাথে মোতায়েন থাকবে। ভক্তদের কোনো অসুবিধা যাতে না হয়, সেইজন্য চিরকুণ্ডা ব্রিজ থেকে মানবারিয়া নদী ঘাট পর্যন্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এইবার পকেটমার এবং চোরচোটের উপরেও বিশেষ নজর রাখা হবে।
বারাকর শহরে যান নিয়ন্ত্রণ, ছট উৎসবে নো-এন্ট্রি কার্যকর
ট্রাফিক গার্ড ইনচার্জ এমডি আলী জানিয়েছেন যে, বরাকর শহরে ৭ নভেম্বর সকাল ৮টা থেকে ৮ নভেম্বর সকাল ১০টা পর্যন্ত নো-এন্ট্রি কার্যকর থাকবে। তিনি বলেন যে, বরাকর একটি ব্যস্ত শহর এবং ঝাড়খণ্ড থেকেও ছট পূজার কেনাকাটার জন্য মানুষ আসে, তাই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে যানবাহন শহরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ট্রাফিক গার্ডের সদস্যরা হানুমান চড়াই থেকে বেগুনিয়া বাজার, স্টেশন রোড এবং কল্যাণেশ্বরী রোড পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা মোতায়েন থাকবেন।
ছট পূজা কমিটির সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতি
বৈঠকে গ্বালা পট্টি ছট পূজা কমিটির সুরেন্দ্র যাদব, সঞ্জীব যাদব, হাসপাতাল রোড কমিটির দিনানাথ দাস, কল্যাণেশ্বরী কমিটির পাপ্পু সিং এবং অন্যান্য ছট পূজা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও, কাউন্সিলর জোগা মণ্ডল, প্রাক্তন কাউন্সিলর পাপ্পু সিং, টিএমসি নেতা সুব্রত ভাদুড়ী সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এবার ছট পূজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে, যাতে উৎসব চলাকালীন ভক্তদের কোনো ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে না হয়।