কুনিস্তোরিয়া কোলিয়ারির কাছে জাতীয় সড়ক ৬০-এ দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এই দুর্ঘটনায় দুই ট্রাক চালক গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনার পর এক ট্রাকের চালক গাড়ির কেবিনে আটকে পড়েন, যাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু করে।
কীভাবে চালককে উদ্ধার করা হলো?
রানিগঞ্জ থানার পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়ির পুলিশ এবং ট্রাফিক গার্ডের ওসি অনন্ত রায়ের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্যাস কাটার ও হাইড্রোলিক ক্রেনের সাহায্যে কেবিন কেটে চালককে উদ্ধার করেন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর চালককে সুরক্ষিত অবস্থায় বের করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কী কারণে ঘটল এই দুর্ঘটনা?
স্থানীয়দের মতে, দৃশ্যমানতার অভাব ও রাস্তায় জায়গার সংকীর্ণতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। একটি ট্রাক লোহার বোঝা নিয়ে রানিগঞ্জ থেকে জামুড়িয়া যাচ্ছিল, অন্যদিকে আরেকটি ট্রাক কয়লার বোঝা নিয়ে জামুড়িয়া থেকে রানিগঞ্জের দিকে আসছিল। দুই ট্রাকের সংঘর্ষে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়।
ট্রাফিক পুনরুদ্ধারের জন্য কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ট্রাফিক গার্ড সহ ট্রাফিক এসিপি প্রদীপ মণ্ডল উপস্থিত হন। ক্রেনের সাহায্যে ট্রাক দুটি সরিয়ে জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
আহত চালকদের অবস্থা
দুই চালকই গুরুতর আহত এবং তাদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, চালকদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জাতীয় সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা জাতীয় সড়ক-৬০-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ঘাটতি তুলে ধরেছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং ভারী যানবাহনের চালকদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা যে, রাস্তায় সতর্কতার সঙ্গে গাড়ি চালানো এবং নিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পুলিশ ও প্রশাসনের বার্তা
দুর্ঘটনার পর প্রশাসন ও পুলিশ চালকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, বিশেষত রাতে ভারী যানবাহন চালানোর সময় গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ট্রাফিক নিয়মের কঠোরভাবে পালন নিশ্চিত করতে।