• nagaland state lotteries dear

“ওয়াক্ফ আইন নিয়ে মমতার বিদ্রোহ! সংসদের আইন কি রুখে দিতে পারে রাজ্য সরকার?”

কলকাতা/নয়াদিল্লি | ১০ এপ্রিল ২০২৫: সারা দেশে ৮ এপ্রিল ২০২৫ থেকে ওয়াক্ফ সংশোধন আইন কার্যকর হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই আইন রাজ্যে কার্যকর হবে না। তাঁর কথায়, “আমি সংখ্যালঘুদের এবং তাদের সম্পত্তির সুরক্ষা করব।” এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

🏛️ সংসদের আইন রাজ্যে কার্যকর করতে না চাইলে কী হয়?

ভারতের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৫৬ অনুযায়ী, সংসদে পাস হওয়া যেকোনো আইন রাজ্য সরকারকে কার্যকর করতেই হবে।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট অশ্বিনী উপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন:

“মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য শুধুই রাজনৈতিক কৌশল। রাজ্য সরকার সংসদের আইন রুখে দিতে পারে না। এটি সংবিধান লঙ্ঘনের সামিল।”

🧾 ওয়াক্ফ সংশোধন আইনে কী কী নতুন সংযোজন হয়েছে?

  • ওয়াক্ফ বোর্ডের সম্পত্তির ওপর স্বচ্ছতা ও নজরদারি
  • সরকারি জমিকে ওয়াক্ফ ঘোষণা করা নিষিদ্ধ
  • অবৈধ দখল ও হস্তান্তরের জন্য কড়া শাস্তি
  • সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির বিচারিক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করা

এই আইন সারাদেশে কার্যকর হয়েছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গসহ কিছু রাজ্য রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় কারণ দেখিয়ে বিরোধিতা করছে।

🔁 CAA ইস্যুর পুনরাবৃত্তি কি আবার দেখা যাচ্ছে?

এটা নতুন কিছু নয়। CAA (নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন) এর সময়েও পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালা আইন প্রয়োগে আপত্তি তুলেছিল। কিন্তু আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য শেষপর্যন্ত সব রাজ্যকেই আইন মানতে হয়েছে।

⚖️ রাজ্য আইন প্রয়োগ না করলে কী হতে পারে?

যদি কোনো রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ বা সংসদের পাস করা আইন মানতে অস্বীকার করে, তাহলে সেটি সংবিধান প্রয়োগের ব্যর্থতা হিসেবে ধরা হয়।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসন (Article 356) জারি করাও একটি বিকল্প হতে পারে, যদিও এটি চূড়ান্ত ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।

ghanty

Leave a comment