পাণ্ডবেশ্বর: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়লা, লোহা এবং বালি চুরির ওপর কঠোর নির্দেশের পরেও দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের মাদারবনী ৬ নম্বর কোলিয়ারির কাছে একটি ফাঁকা জায়গায় কয়লার বিশাল স্তুপ পাওয়া গেছে। এই স্তুপটি সুন্দরভাবে ঢেকে রাখা হয়েছিল, যা ম্যাগাজিন হাউস থেকে খুব দূরে নয়।
কয়লা চুরির ঘাঁটি হওয়ার আশঙ্কা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই এলাকায় কয়লা চুরির কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। পুলিশ এবং ইসিএলের সম্পত্তি রক্ষায় নিযুক্ত সিআইএসএফের নজরদারির অভাব অনেক প্রশ্ন তুলছে।
স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতার অভিযোগ
লাউদোহা থানার ফরিদপুর পুলিশ স্টেশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি নেতা রূপক পান্জা অভিযোগ করেছেন, “থানার আধিকারিকরা সবকিছু জানার পরেও চুপচাপ বসে আছেন। এটা পুলিশ ও কয়লা মাফিয়াদের মধ্যে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।”
সিআইএসএফ-এর দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন
ইসিএলের সম্পত্তি রক্ষার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের নিরবতায় গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাদের প্রশ্ন, “এত বড় পরিমাণে কয়লা যেখানে মজুত, সেখানে সিআইএসএফের নজরে পড়ল না কেন?”
রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে
এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিজেপি একে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
গ্রামবাসীদের দাবি
গ্রামবাসীরা কয়লা চুরির এই ঘটনার গভীর তদন্ত এবং যুক্ত সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।