![কলকাতায় সাধুসন্তদের প্রতিবাদ মিছিলে লাভ বিজেপির 1 1716559109 sadhu](https://citytodaynews.com/wp-content/uploads/2024/05/1716559109_sadhu.jpg)
বিশেষ সংবাদদাতা, কলকাতা:শুক্রবার কলকাতা দেখল সাধুসন্তদের এক দীর্ঘ মিছিল। ভারত সেবাশ্রম সংঘের কার্তিক মহারাজকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রতিবাদে এই মিছিল বের করা হয় বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের ডাকে। মিছিল বাগবাজারের সারদা মায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সিমলা স্ট্রিটে স্বামী বিবেকানন্দের জন্মভিটে পর্যন্ত। মিছিলে সাধুসন্তদের ভিড় ছিল লক্ষ করার মতো। এদিন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ থেকেও অনুরূপ একটি প্রতিবাদী মিছিল বেরোয় বলে জানা গিয়েছে। ষষ্ঠ দফার লোকসভা ভোটের আগের দিন বের করা সাধুসন্তদের এই প্রতিবাদ মিছিলে একদিকে যেমন প্রচণ্ড অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল কংগ্রেস, তেমনই বিজেপি লাভবান হল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মমতার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সাধুসন্তদের এই প্রতিবাদ মিছিল কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসকে বেগ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুগলির কামারপুকুরে এক নির্বাচনী জনসভায় সাধুসন্তদের একাংশের বিরুদ্ধে ভোট রাজনীতি করার অভিযোগ করেন। ভারত সেবাশ্রমের কার্তিক মহারাজের নাম করে তিনি বলেন, উনি তৃণমূল এজেন্টকে বসতে না দিতে বলেছেন। এছাড়াও মমতা রামকৃষ্ণ মিশন ও ইসকনের সাধুসন্তদের একাংশের বিরুদ্ধেও ভোট রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন। সাধুসন্তরা এর তীব্র প্রতিবাদ করেন। এর মধ্যে মমতা অন্য দিন এক সভায় বলেন, তিনি কোনও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বলেননি। দু’-একজনের কথা বলেছেন। কার্তিক মহারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিস পাঠিয়ে বলেন, হয় প্রমাণ দিন, নয়তো প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। নাহলে আইনি ব্যবস্থা। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণ মিশন ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাদের কারও ভোট রাজনীতিতে জড়ানোর কথা নয়।বিজেপিও মমতার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরপর দু’দিন মমতার মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একটি ভোটও পাওয়া উচিত নয়। মুসলিম ভোটব্যাংক সুরক্ষিত রাখতেই মমতা ওই মন্তব্য করেছেন বলে মোদি অভিযোগ করেন।এর ওপর শুক্রবার কলকাতায় সাধুসন্তরা যে দীর্ঘ প্রতিবাদ মিছিল করলেন, তাতে তৃণমূলের অস্বস্তি আরও বাড়ল। এই মিছিলে হিন্দু ভোট এককাট্টা হলে বিজেপির ফায়দা। কলকাতার দু’টি কেন্দ্রেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।