দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাস্ট ফার্নেস বিভাগে বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়সড় দুর্ঘটনার ঘটনা সামনে এসেছে। কাজ চলাকালীন হঠাৎই একটি পাইপলাইন ফেটে ব্যাপক চাপের গ্যাস ছিটকে যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের মতো তাপ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিন শ্রমিক গুরুতরভাবে ঝলসে যান।
আহত শ্রমিকরা হলেন — বাড়িদ বরণ ঘোষ, শেখ রাজ্জাক আলি, এবং শেখ ইমরান আলি। ঘটনার পর দ্রুতই তাদের দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তিনজনেরই শরীরে গুরুতর বার্ন ইনজুরি রয়েছে এবং তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
🔥 কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ব্লাস্ট ফার্নেসের কাছে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎই ওভারহিট হওয়া একটি পাইপলাইন চাপে ফেটে যায় এবং গ্যাস ছিটকে শ্রমিকদের উপর পড়ে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান।
🏥 হাসপাতালের সামনে শ্রমিক সংগঠনের আতঙ্ক ও ক্ষোভ
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহতদের পরিবার ও সহকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূল ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন—
“বারবার এ ধরনের দুর্ঘটনা উদ্বেগজনক। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। আমরা ব্যবস্থাপনার কাছে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানাব।”
⚠️ নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ
অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনও দাবি করেছে—
✔ কারখানায় নিয়মিত নিরাপত্তা অডিট হয় না
✔ ব্লাস্ট ফার্নেস এলাকার পাইপলাইন বহুদিন পরিদর্শন করা হয় না
✔ শ্রমিকদের যথেষ্ট সেফটি গিয়ার দেওয়া হয় না
অনেকে দাবি করছেন, বড় দুর্ঘটনা ঘটার আগেই সতর্কবার্তা পাওয়া গিয়েছিল, কিন্তু তা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
🔍 তদন্তে নেমেছে কর্তৃপক্ষ
কারখানা কর্তৃপক্ষ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাইপলাইন কেন ফেটেছে, এতে কোনো অবহেলা বা রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতি ছিল কি না—তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে দুর্ঘটনার সংখ্যা বাড়ছে, যা শ্রমিক মহলে তীব্র উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।












