আইআইটি-দিল্লির এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে শীতকালে ঝাড়খণ্ডের দূষণ দক্ষিণ মনসুনের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এবং পরিবেশ বিভাগ ঝাড়খণ্ড-বঙ্গ সীমানায় তিন স্তরে গাছ লাগানোর কাজ শুরু করেছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বিশেষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) সুব্রত ঘোষ বলেন,
“আগামী দিনে গাছই পশ্চিমবঙ্গকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।”
কয়েকদিন আগেও আসানসোল এবং দুর্গাপুর দূষণের মাত্রায় দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে কড়া সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। দুর্গাপুর আঞ্চলিক দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বেশ কয়েকটি ইস্পাত কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেয়।
১০০টির বেশি কারখানাকে সতর্কবার্তা
দূষণ নিয়ন্ত্রণের অভাবে জরুরি ভিত্তিতে আসানসোল-দুর্গাপুর অঞ্চলের ১০০টির বেশি কারখানার সঙ্গে একটি জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ওএসডি সুব্রত ঘোষের উপস্থিতিতে দুর্গাপুর পৌরসভা, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এই বৈঠক হয়।
ডিপিএল-সহ কারখানাগুলিকে কড়া নির্দেশ
ওএসডি সুব্রত ঘোষ বলেন,
“ভবিষ্যতে, যদি ডিপিএলের ছাই পরিবহনের সময় তা ঢেকে না রাখা হয়, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে জরিমানা ধার্য করা হবে। প্রতিটি কারখানাকে নিজেদের সীমানার রাস্তায় জল ছিটানোর জন্য স্প্রিঙ্কলার ব্যবহার করতে হবে।”
কারখানার চলাচল পর্যবেক্ষণের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ এবং পৌরসভা মিলে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছে। প্রতিদিন জল ছিটানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এবং আচমকা অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি
দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকের পর, এসডিও সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন,
“দুর্গাপুরের সমস্ত কারখানাকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসন এবং নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আমরা দুর্গাপুরে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিমুহূর্তে নজর রাখছি।”
শিল্পাঞ্চলের প্রতিক্রিয়া
বামুনারা শিল্প তালুকের একটি বেসরকারি ইস্পাত কারখানার জেনারেল ম্যানেজার বলেন,
“আমরা এই ধরনের বৈঠক থেকে অনেক কিছু শিখছি। দুর্গাপুরের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। নির্দেশ অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। জনগণের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছি।”