নিউ দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার লুকিয়ে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা ব্যবহার করতে দিচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২০১৬ সালে অশোকনগরের কাছে প্রথমবার তেল ক্ষেত্র আবিষ্কারের পর ওএনজিসি (অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন) আরও চারটি তেলের ভাণ্ডার চিহ্নিত করলেও, তা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ রাজ্য সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
২০২০ থেকে আটকে আছে অনুমোদন
লোকসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, অশোকনগর তেল ক্ষেত্রের জন্য ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পেট্রোলিয়াম মাইনিং লিজ রাজ্য সরকারের কাছে মুলতুবি রয়েছে। অথচ, কেন এই লিজ দেওয়া হচ্ছে না, তার কোনো কারণ রাজ্য সরকার জানায়নি।
অশোকনগর তেল ক্ষেত্র কতটা গুরুত্বপূর্ণ?
এই তেল ক্ষেত্র চালু হলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বছরে প্রায় ₹৮,১২৬ কোটি রাজস্ব পেতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে ₹১,০৪৫.৫ কোটি বিনিয়োগ করেছে, যা রাজ্যের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারত।
৫টি নতুন তেলের ভাণ্ডারের সন্ধান
অশোকনগরের পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে আরও ৫টি সম্ভাব্য তেলের ভাণ্ডার চিহ্নিত হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনুমতির অভাবে এই প্রকল্পগুলিও থমকে আছে। তবু, কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যে উন্নয়নের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গ সরকারের কাছে ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে
২০২০ সাল থেকে অশোকনগর তেল প্রকল্পের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ১৯টি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ওএনজিসি ১৪টি, পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক ৩টি এবং হাইড্রোকার্বন অধিদপ্তর ২টি চিঠি পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় টিম এই প্রকল্পের সাইটে বহুবার পরিদর্শনও করেছে।
কেন মমতা সরকার এই প্রকল্পকে আটকে রেখেছে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক কারণে রাজ্য সরকার এই প্রকল্পকে পিছিয়ে দিচ্ছে। প্রকল্পটি চালু হলে রাজ্যে কর্মসংস্থান, শিল্প উন্নয়ন ও রাজস্ব বাড়বে।