আসানসোল: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ‘দুয়ারে সরকার’-এর নবম পর্ব আজ থেকে শুরু হয়ে গেল। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় এই প্রকল্পের আওতায় মোট ২৭৪৪টি ক্যাম্প আয়োজন করা হবে, যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারসহ ৩৭টি প্রকল্পের সরাসরি সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ।

জেলাশাসক এস. পোন্নাম্বালম সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেলায় ৫০৪টি স্থায়ী ক্যাম্প এবং ২২৪০টি মোবাইল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। এই ক্যাম্পগুলো জেলার আটটি ব্লক এবং আসানসোল-দুর্গাপুর কর্পোরেশন এলাকা জুড়ে পরিচালিত হবে।
ক্যাম্প আয়োজন ও প্রধান তথ্য
- ক্যাম্প শুরু: জামুড়িয়া এবং রাণীগঞ্জ থেকে।
- প্রথম দিনের ক্যাম্প: আজ ৪০৫টি ক্যাম্পের আয়োজন।
- সময়কাল: ক্যাম্প চলবে ১লা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
- আবেদন প্রক্রিয়া: জমা হওয়া আবেদনপত্রের প্রক্রিয়া ২৮শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পন্ন হবে।
- বিশেষ দিনে বন্ধ: রবিবার এবং ছুটির দিনে ক্যাম্প বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সচেতনতা অভিযানও অন্তর্ভুক্ত

কিছু ক্যাম্পে স্বাস্থ্য পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। আইসিডিএস (ICDS) এর মাধ্যমে মা এবং শিশুদের পুষ্টির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করা হবে।
এছাড়াও, লোক প্রসার শিল্পীদের পরিবেশনার মাধ্যমে প্রকল্পগুলির সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা হবে।
৩৭টি প্রকল্পের সুবিধা: গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলি কী কী?

এই ক্যাম্পগুলির মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কৃষক বন্ধু, স্কলারশিপ প্রকল্প, বার্ধক্য পেনশন সহ আরও অনেক সরকারি প্রকল্পের সরাসরি সুবিধা দেওয়া হবে।
মানুষের প্রতিক্রিয়া
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “দুয়ারে সরকার প্রকল্প গরিব এবং প্রয়োজনীয় মানুষের জন্য আশীর্বাদ।”
অন্য একজন যোগ করলেন, “মোবাইল ক্যাম্পগুলোর মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকার মানুষও সুবিধা পাচ্ছেন।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, সমস্ত উপভোক্তাদের সময়মতো প্রকল্পগুলির সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ দল নিয়োগ করা হবে।