আসানসোল/দুর্গাপুর:
দুর্গাপুরে বিজেপি ঘনিষ্ঠ যুবনেতাদের দ্বারা গো ব্যবসায়ীদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ ঘিরে রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তবে এই পদক্ষেপকে অপ্রতুল বলে দাবি করছে কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেল।
মঙ্গলবার, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ফেরোজ খান-এর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। স্মারকলিপিতে কংগ্রেস নেতারা ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বাকি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ফেরোজ খান বলেন, “এই ঘটনায় কিছু পুলিশ সদস্যের ভূমিকা অত্যন্ত সন্দেহজনক। আমরা চাই প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নিক।”
তিনি আরও বলেন, “এটি শুধুই আইনশৃঙ্খলার ইস্যু নয়, বরং সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানোর জন্য পরিকল্পিত এক রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। কংগ্রেস এই ধরনের দমননীতির বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবে।”
উত্তপ্ত রাজনীতি ও জনমানসে চাপা ক্ষোভ
ঘটনার জেরে দুর্গাপুর ও আসানসোল এলাকায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের একাংশও এই ঘটনার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
কংগ্রেসের হুঁশিয়ারি:
ফেরোজ খান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি অবিলম্বে সব দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আমরা রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাব।”
সাংগঠনিক দিক থেকে আরও চাপ:
সংখ্যালঘু সেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং প্রয়োজনে ধর্মীয় ও মানবাধিকার সংগঠনগুলিকেও এই আন্দোলনে যুক্ত করা হবে।