বার্নপুর: মাত্র ৯ বছর বয়সে বড় মঞ্চে বাজিমাত করলেন বার্নপুর রিভারসাইড স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আশি শ্রীবাস্তব। বারাণসীর হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২২তম অল ইন্ডিয়া ইন্টার স্কুল অ্যান্ড সিনিয়র কারাটে চ্যাম্পিয়নশিপ “ফেডারেশন কাপ” ২০২৪-এ আশি ১টি স্বর্ণপদক এবং ১টি রৌপ্যপদক জিতে নজর কেড়েছেন।
অভিভাবকদের গর্ব:
আশির বাবা অনুপ কুমার শ্রীবাস্তব বলেন,
“একজন বাবা হিসেবে আমি অত্যন্ত গর্বিত। আশি নিজেই কারাটেকে বেছে নিয়েছে। ছোট থেকেই ও পরিশ্রমী। আমি আশা করি, ভবিষ্যতে ও আরও কঠোর পরিশ্রম করে ভারতের নাম বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করবে।”
কোচের প্রশংসা:
আশির কোচ মিঃ সিনকু ব্যানার্জি বলেন,
“আশি আমার সবচেয়ে প্রিয় ছাত্রী। পাঁচ বছর বয়স থেকেই ও আমার কাছে কারাটে শিখছে। প্রতিটি ইভেন্টে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। বারাণসীতে অন্যান্য রাজ্যের প্রতিযোগীদের সঙ্গে কঠিন লড়াই করে ও ১টি সোনা এবং ১টি রুপো জিতেছে। শরীর খারাপ না থাকলে রুপোর পদকটিও সোনায় রূপান্তরিত হতো। ওর মধ্যে অসাধারণ প্রতিভা এবং কঠোর পরিশ্রমের গুণ রয়েছে।”
স্কুলের গর্ব:
বার্নপুর রিভারসাইড স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবং অধ্যক্ষ আশির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত।
“আশি শুধু আমাদের স্কুলের নয়, গোটা অঞ্চলের গর্ব,” তাঁরা বলেন।
“আমরা আশির ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই।”
আশির প্রতিক্রিয়া:
আশি জানায়,
“আমি পাঁচ বছর বয়স থেকে কারাটে শিখছি। প্রতিদিন কঠোর পরিশ্রম করি এবং ভবিষ্যতে আরও পরিশ্রম করে এগিয়ে যেতে চাই। আমার বাবা আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় আমি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করার চেষ্টা করি এবং এভাবেই দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চাই।”
প্রতিভার শুরুর গল্প:
আশির কোচ আরও বলেন,
“আশি কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতা থেকে এর আগে ২টি সোনা জিতেছে। এবারের বারাণসীর প্রতিযোগিতায় শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও সে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। প্রতিটি পদক তার কঠোর পরিশ্রমের ফল।”
আন্তর্জাতিক স্বপ্ন:
আশির বাবা বলেন,
“ও ছোট থেকেই পরিশ্রমী। আশি আরও পরিশ্রম করলে আন্তর্জাতিক মঞ্চেও সাফল্য অর্জন করবে। আমরা তার পাশে সবসময় আছি।”