কলকাতা: “সব তীর্থ বার বার, গঙ্গাসাগর একবার” এই পুরনো প্রবাদটি এবার বদলে যেতে চলেছে। আগে যেখানে গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রা তার দুর্গমতার জন্য পরিচিত ছিল, এখন রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় তা সহজ এবং আরামদায়ক হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পরিবহন ও পরিকাঠামো উন্নয়নে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং ও স্টিমার পরিষেবার সম্প্রসারণ
গঙ্গাসাগর তীর্থে পৌঁছাতে মুড়িগঙ্গা নদীই ছিল প্রধান বাধা। এই নদীতে পলি জমার ফলে ভাটার সময় জলস্তর কমে যেত, যার কারণে স্টিমার পরিষেবা বন্ধ রাখতে হতো। সমস্যা সমাধানের জন্য রাজ্য সরকার ড্রেজিং কাজ তীব্র করেছে।
- এই বছর স্টিমার পরিষেবা ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা চালু থাকবে।
- ১০০টি স্টিমার এবং ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে।
- তীর্থযাত্রীদের জন্য একক টিকিট ব্যবস্থা চালু হবে।
বিশেষ পরিবহন ব্যবস্থা
গঙ্গাসাগর মেলায় যাত্রীদের ভিড় সামলাতে:
- হাওড়া, শিয়ালদহ এবং নামখানা স্টেশন থেকে ৭১টি অতিরিক্ত ট্রেন চালানো হবে।
- ২২৫০টি সরকারি এবং ২৫০টি বেসরকারি বাস চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা: মুড়িগঙ্গার উপর সেতু নির্মাণ
রাজ্য সরকার তার বাজেটে মুড়িগঙ্গার উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে সেতুর বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন (DPR) প্রস্তুত এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
- সেতুর নির্মাণ কাজ আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে শেষ হবে।
- এই সেতুটি গঙ্গাসাগর তীর্থযাত্রীদের জন্য সবচেয়ে বড় সমাধান হবে।
মকর সংক্রান্তির আগেই আরামদায়ক যাত্রার প্রতিশ্রুতি
সরকার দাবি করেছে যে মকর সংক্রান্তির আগেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। এবার তীর্থযাত্রীরা আর কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।
তীর্থযাত্রীদের বার্তা
গঙ্গাসাগর মেলায় আসা ভক্তরা সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। ভক্তদের মতে, এখন গঙ্গাসাগরে পৌঁছাতে সময় কম লাগবে এবং যাত্রা আরও আরামদায়ক হবে।