কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ সম্প্রতি চারটি ভিন্ন ঘটনায় মহিলাদের প্রতি হওয়া হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছে এবং এসব মামলায় নেওয়া আইনি পদক্ষেপের তথ্য দিয়েছে। পাশাপাশি, পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, এই সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার করলে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে করা একটি টুইটে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যের চারটি ভিন্ন জেলায় সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের কিছু ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে কিছু গুজব এবং ভুল তথ্য সহ প্রচারিত হচ্ছে। এই ঘটনাগুলোর সত্যতা এবং পুলিশের নেওয়া পদক্ষেপগুলি নিম্নরূপ:
প্রথম ঘটনাটি বীরভূম জেলার ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে, যেখানে এক রোগীর বিরুদ্ধে এক নার্সের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে। এই মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা এলাকা থেকে, যেখানে এক মেয়েকে তার নিজের ভাইতু দ্বারা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
তৃতীয় ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম থেকে, যেখানে যৌন নির্যাতনের একটি মামলায় একমাত্র অভিযুক্তকে তৎক্ষণাৎ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি কোনো পঞ্চায়েত সদস্য নন, যেভাবে কিছু জায়গায় মিথ্যা প্রচার করা হয়েছিল।
চতুর্থ ঘটনাটি হাওড়া জেলা হাসপাতাল থেকে, যেখানে এক ল্যাব টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে এক মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাতেও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাদের টুইটে আরও বলেছে যে, মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের ক্ষেত্রে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করে এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি, এই ঘটনাগুলিকে কেন্দ্র করে যারা ভুল তথ্য প্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।