পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারী নিয়োগ কেলেঙ্কারি ঘিরে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ। ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) কলকাতা জোনাল অফিস ১৬৩.২০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রফুল্ল কুমার রায় ও তাঁর স্ত্রী কাজল সোনি রায়ের নামে থাকা একাধিক হোটেল ও জমি। শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক প্রফুল্ল কুমার রায় এবং কাজল সোনি রায় এই কেলেঙ্কারির প্রধান দালাল হিসেবে অভিযুক্ত।
কী কী সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত?
ইডির মতে, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির তালিকায় রয়েছে:
- শ্যামপুর, হাওড়ায় চালঙ্কিতা রিসর্ট
- সুন্দরবনে রয়্যাল বেঙ্গল রিসর্ট
- দিঘায় হোটেল মিলি (রুবিনা)
- জলপাইগুড়িতে হোটেল মূর্তি
- আলিপুরদুয়ারে ব্যাম্বু ভিলেজ রিসর্ট
তাছাড়া, ১২০টি জমির প্লট শ্রী দুর্গা ডিলকম প্রাইভেট লিমিটেডের নামে, ৬৪টি প্লট ও ১২টি ফ্ল্যাট/অফিস প্রফুল্ল কুমার রায়ের নামে, এবং ৩৪টি প্লট ও ১৭টি ফ্ল্যাট কাজল সোনি রায়ের নামে বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কেলেঙ্কারির পরিধি ও সিবিআই তদন্ত
সিবিআইয়ের দুইটি এফআইআর-এর ওপর ভিত্তি করে তদন্ত চালায় ইডি। অভিযোগ অনুসারে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা ও অন্যায়ভাবে গ্রুপ ‘সি’ এবং ‘ডি’ পদে নিয়োগ হয়েছে। যাদের যোগ্যতা না থাকলেও, এদের অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। ইডির তদন্তে উঠে এসেছে মোট ৩৪৩২ জন (গ্রুপ ‘সি’তে ১১২৫ এবং গ্রুপ ‘ডি’তে ২৩০৭ জন) কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।
আগের বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বিবরণ
এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়; পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষকের নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে ইতিমধ্যেই ২৩১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগে ১৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মোট বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ এখন ৫৪৪.৮ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।