কুলটি থেকে সত্যেন্দ্র যাদবের প্রতিবেদন : কুলটি এলাকার আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের এক চুক্তিভিত্তিক নারী কর্মী, যাঁর নাম পরিবর্তিত করে ববিতা হাড়ি রাখা হয়েছে, গুরুতর শ্লীলতাহানি ও জাতিগত গালিগালাজের অভিযোগ করেছেন সাফাই সুপারভাইজার ডবলিউ খানের বিরুদ্ধে। শনিবার, ওই অভিযোগের প্রতিবাদে অন্যান্য চুক্তিভিত্তিক সাফাই কর্মীদের সঙ্গে কুলটি থানার সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং অভিযুক্তের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি তোলেন।
ঘটনাটি কী?
৩৫ বছর বয়সী এই মহিলা কর্মী, যিনি গত সাত বছর ধরে নিয়ামতপুর বরো অফিসে তাঁর বাবার বদলে কাজ করছেন, জানান যে বৃহস্পতিবার যখন তিনি সাফাইয়ের কাজে নিয়োজিত ছিলেন, তখন মুনশি ডবলিউ খান অন্য দুই সহকর্মীকে ছুটি দিয়ে তাঁকে নিজের বাড়িতে যেতে বলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, মুনশির বাড়িতে পৌঁছানোর পর দরজা বন্ধ করে তাকে আপত্তিকর আচরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত তাকে ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং তাঁর কাপড় ছিঁড়ে দেয়। কোনোভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান এবং পরিবারের সদস্য ও সহকর্মীদের পুরো ঘটনার কথা জানান।
অভিযোগের পরেও অভিযুক্তের গ্রেপ্তার বিলম্ব হওয়ায়, সকল চুক্তিভিত্তিক সাফাই কর্মীরা শনিবার কুলটি থানার সামনে একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করেন। প্রতিবাদের সময়, কর্মীরা কর্পোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে আলোচনা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইন-চার্জ কৃষ্ণেন্দু দত্ত জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ডবলিউ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং শীঘ্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। এই বিষয়ে নিয়ামতপুর বোরোর সাত নম্বর ওয়ার্ডের বোরো চেয়ারম্যান শতাব্দী ভান্ডারী জানিয়েছেন যে, আইন অনুসারে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও, বোরো চেয়ারম্যান চৈতন্য মাঞ্জি এই ঘটনার বিষয়ে পুরো তথ্য মেয়রকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকে আসানসোল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের কর্মক্ষেত্র ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মীদের মধ্যে এই ঘটনা নিয়ে গভীর ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।