কলকাতা : তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি) প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের মধ্যে বড়সড় রদবদলের ঘোষণা করেছেন। অভিজ্ঞ এবং বিশ্বস্ত নেতাদের নতুন দায়িত্ব দিয়ে দলের শৃঙ্খলা কমিটি এবং জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে জাতীয় স্তরে দলের শক্তি বৃদ্ধি এবং ভবিষ্যতের কৌশলগত দিক নির্ধারণের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
শৃঙ্খলা কমিটি গঠন
তৃণমূল কংগ্রেস তিনটি বড় শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করেছে, যাতে দলের ভেতর কার্যকর নেতৃত্ব ও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।
- পার্লামেন্টারি শৃঙ্খলা কমিটি:
সুধীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নদিমুল হক এই কমিটিতে রয়েছেন। - রাজ্য বিধানসভা শৃঙ্খলা কমিটি:
এই কমিটিতে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, নির্মল ঘোষ, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশীষ কুমার এবং ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন। - রাজ্য স্তরের শৃঙ্খলা কমিটি:
সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু, ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পেলেন বড় দায়িত্ব
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো এবং দলের দ্বিতীয় বৃহত্তম নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জাতীয় মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এই ভূমিকায় তিনি দলের কৌশল জাতীয় স্তরে তুলে ধরবেন।
অভিজ্ঞ নেতাদের নতুন ভূমিকা
বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, মানস ভুঁইঞা এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের সর্বোচ্চ কার্যনির্বাহী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলের সূত্রে জানা গেছে, এই পদক্ষেপ অভিজ্ঞ নেতৃত্ব এবং যুব নেতৃত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।
জনসংযোগের নতুন কৌশল
তৃণমূল “মানুষের সঙ্গে, মানুষের জন্য” নামে একটি নতুন প্রচারাভিযান শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রচারণার উদ্দেশ্য জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করা এবং দলের ইতিহাস ও অবদানের কথা তুলে ধরা।
উত্তরবঙ্গের ইস্যুতে বিশেষ নজর দিতে গৌতম দেব, উদয়ন গুহ এবং প্রকাশ চিক বড়াইককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামের আদিবাসী অঞ্চলের সমস্যা সমাধানে বিশেষভাবে কাজ করবেন বিরবাহা হাঁসদা।
দলের ভবিষ্যৎ এবং কৌশল
তৃণমূল কংগ্রেস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, জাতীয় স্তরে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করবে। দলের প্রবীণ নেতারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই এই রদবদল করা হয়েছে।