আসানসোল: আসানসোল আশীর্বাদ ফাউন্ডেশনের সৌম্য কুমার সাধু বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে মাদকাসক্তি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে স্কুল – কলেজের ছাত্রদের মধ্যে মাদক সহজলভ্য হয়ে উঠেছে, যা তাদের ভবিষ্যৎ জীবনের গভীর ক্ষতি করছে। সৌম্য সাধু আরো ও বলেন, “বর্তমানে মাদক সেবনের পদ্ধতি খুব সহজ হয়েছে। আগে যেখানে মাদক কিনতে লোকজনকে পেডলারদের বাড়িতে যেতে হত, এখন সেটা সহজে পাওয়া যাচ্ছে। কলেজের শিক্ষার্থীরাও মাদক পাচ্ছে।” তিনি ২০১২ সাল থেকে ড্রাগের নেশা কত তা সর্বনাশ করছে মানবজীবনে সেই জন্য কাজ করে চলেছেন আসানসোলে।
মাদক আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য এগিয়ে আসুন
সৌম্য সাধু বলেন, “মাদকাসক্তির সমস্যা শুধুমাত্র মাদক বিক্রেতাদের দোষ নয়, এটি একটি সামাজিক সমস্যা। একদিকে যেখানে মাদক সহজলভ্য হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবারের লোকজনের থেকেও এটি অজানা থাকছে কোনো কোনো সময়ে অথবা তারা বিষয়টি সামাজিক সম্মান রক্ষার্থে লুকিয়ে যাচ্ছেন।” ২০১২ সালে যখন তিনি কাজ শুরু করেছিলেন তখন নেশাগ্রস্থদের বাড়ির লোকেরাও তাদের কে সাহায্য করেননি।
তাই তিনি বলেন, “প্রথমে পরিবারের মধ্যে সচেতনতা আনতে হবে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে, যাতে তারা মাদক গ্রহণ না করে। যদি আমরা মাদক চক্র বন্ধ করতে পারি, তাহলে কোনো একটি ছেলের বা মেয়ের জীবন পরিবর্তন করতে পারব। তাদের কে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে পারবো। “
তিনি তার এই দীর্ঘ্য কর্মজীবনে এমন অনেকের মুখোমুখি হয়েছেন যারা শিক্ষিত, কিন্তু বেকার বা কোনো কারণে কাজ হারিয়ে এই সব মাদকদ্রব্য আদান প্রদান এর কাজে জড়িয়ে পড়েছে, এবং পরে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে, তিনি এবং তার সংস্থা এই সব মানুষদের কেও জীবনের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনার জন্য সদাসচেষ্ট।
এখনই সময়, মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার জন্য একত্রিত হওয়া
সৌম্য সাধু জানান, তার ফাউন্ডেশন মাদকাসক্তদের সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন এবং শিক্ষা কর্মসূচি চালাচ্ছে। তিনি বলেন, “আজকে যদি এই পরিস্থিতি না থামানো যায়, তবে ভবিষ্যতে আরও বড় বিপদ আসবে। সুতরাং, সকলকে সজাগ থাকতে হবে এবং মাদকসেবন সম্পর্কে নিজেদের সচেতন করতে হবে।”
মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
সৌম্য সাধু আরও বলেন, “যেহেতু এই অঞ্চলটি বর্ডার এর কাছে, তাই এই ব্যবসাকে আটকাতে প্রশাসন কে বেগ পেতে হচ্ছে, কিন্তু যদি সাধারণ মানুষের সাহায্য থাকে তাহলে অবশ্যই এই নেশার রমরমা বন্ধ করা যেতে পারে। মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। যদি আশেপাশে কাউকে মাদক বিক্রি করতে দেখেন, তাহলে পুলিশ বা আমাদের হেল্পলাইন নম্বরে নিজের পরিচয় গোপন করে অবশ্যই জানান।”
তিনি তার ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বরও শেয়ার করেন: 8391088881