রূপনারায়ণপুর: সোমবার দুর্গাপুর পুলিশের একটি বিশাল দল রূপনারায়ণপুর ফকরাদি এলাকায় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী পৃথ্বীরাজ জয়সওয়াল এবং হাতাত কলোনির বাসিন্দা ব্যবসায়ী অজয় দাসের বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি অভিযান চালায়। এই অভিযানে দুর্গাপুর থানা, সলানপুর থানা ও রূপনারায়ণপুর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোটি টাকার ডাকাতির রহস্য: পুলিশ সূত্রে খবর, এই তল্লাশি অভিযান দুর্গাপুরে কোটি টাকার ডাকাতির ঘটনায় চালানো হয়েছিল। দিল্লির ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলা সাদা টাকার বদলে কালো টাকা পাওয়ার লোভে পড়ে ডাকাতির ফাঁদে পড়েন। তাকে ৫০ লক্ষ টাকার পরিবর্তে ৬৫ লক্ষ কালো টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। মুকেশ চাওলা এই ফাঁদে পড়ে রূপনারায়ণপুরে টাকা নিতে আসেন। সেখানে তাকে ৬৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১ কোটি টাকা দেওয়া হয় এবং জানানো হয় যে, কলকাতায় কেউ তার ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে যাবে।
ডাকাতির প্রধান অভিযুক্ত: দুর্গাপুরের পায়লা কালী মন্দিরের কাছে মুকেশ চাওলার কাছ থেকে ১ কোটি টাকা লুট হয়। দুর্গাপুর পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায়, এই ডাকাতির মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দা পৃথ্বীরাজ জয়সওয়াল এবং তার সঙ্গীরা। পুলিশ পৃথ্বীরাজের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র এবং অস্ত্র উদ্ধার করেছে। তবে পৃথ্বীরাজ ও অজয় দাস এখনো পলাতক রয়েছেন।
স্ত্রী রাধিকার গ্রেপ্তার: পুলিশ তদন্তে জানতে পারে যে পৃথ্বীরাজের স্ত্রী রাধিকার নামে বাড়ি ও গাড়ি রয়েছে। তাই রাধিকাকেও গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও তার ছোট সন্তান রয়েছে। পুলিশ সন্দেহ করছে যে, রাধিকার হিন্দুস্তান কেবলস রোডের হোটেলেই এই সমস্ত অবৈধ কাজকর্মের পরিকল্পনা করা হয়। পুলিশ দুটি বাড়ি তালাবদ্ধ করেছে এবং তদন্ত চলছে।