বিশেষ সংবাদদাতা : সারা দেশের নজর আজ সুপ্রিম কোর্টের দিকে, আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তার খুন ও ধর্ষণ মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি চলছে। রাজ্য তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা অভিযোগ করেছেন যে রাজ্য অনেক তথ্য গোপন করেছে।
আজ, সোমবার, আরজি কর হাসপাতালের এক তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের তদন্ত নিয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্টে দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানির শুরুতেই রাজ্য একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি অভিযোগ করেন যে, রাজ্য অনেক তথ্য লুকিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন: প্রধান বিচারপতি জিজ্ঞাসা করেন, “কলকাতা পুলিশ কি পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিও ফুটেজ সিবিআইকে দিয়েছে? তদন্তের ফুটেজ কি সঠিকভাবে দেওয়া হয়েছে?” জানা গেছে, সিবিআইয়ের কাছে ২৭ মিনিটের ফুটেজ ৪টি ক্লিপে দেওয়া হয়েছে। সিবিআই জানিয়েছে যে, তদন্তের কিছু অংশ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ পড়েছে।
সিবিআই তদন্তে নতুন দিক: সিবিআই সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আরজি কর হাসপাতালের তদন্তের সমস্ত নমুনা AIIMS-এ বা অন্য কোনো ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে। সিবিআই রাজ্যের ফরেনসিক নমুনা ও রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। তুষার মেহতা বলেন, “নমুনা কে নিয়েছে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ রাজ্যের পেশ করা রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এবং সিবিআইকে একটি নতুন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই রিপোর্ট আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জমা দিতে হবে। এছাড়াও, প্রধান বিচারপতি সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন এবং সমস্ত ক্লু অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
সিবিআই-এর বক্তব্য: সিবিআই জানিয়েছে, মৃতদেহটি সকাল ৯:৩০-এ পাওয়া গিয়েছিল এবং ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী দেহটি তখন আধা নগ্ন অবস্থায় ছিল। দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। সিবিআই এই নমুনাগুলি AIIMS বা অন্য কোনো ল্যাবে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মরদেহ পরীক্ষার সময় নিয়ে প্রশ্ন: সিবিআই আরও অভিযোগ করেছে যে, পোস্টমর্টেমের সময় উল্লেখ করা হয়নি। তবে, রাজ্যের আইনজীবী সমস্ত কিছু যুক্তিতে উল্লেখ করেছেন। আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, “দুপুর ২:৩০ থেকে রাত ১১:৩০ পর্যন্ত মাত্র ১০টি জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। তবে পুরো মামলাটি পরে সাজানো হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।”