আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা ডাক্তারকে নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তে গুরুতর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের মতে, এই ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল এবং এর পেছনে ছিল হাসপাতালের মধ্যে প্রচলিত অর্থনৈতিক দুর্নীতি প্রকাশের ভয়।
সিবিআই তদন্তে জানা গেছে যে, হাসপাতালের প্রাক্তন প্রধান সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিত মণ্ডলের মোবাইল ফোনের ফরেনসিক তদন্তে তাদের দ্বারা প্রমাণ ধ্বংসে সক্রিয় ভূমিকা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় একটি বড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত মেলে, যেখানে অনেক রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, এই মামলায় আদালতে চার্জশিট পেশ করার সময় সিবিআই শুধু সিভিক স্বেচ্ছাসেবক সঞ্জয় রায়কে মূল আসামী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ ধরনের তদন্ত পুলিশের প্রাথমিক তদন্তের উপর প্রশ্ন তোলে, যিনি সঞ্জয় রায়কে একমাত্র মূল আসামী হিসেবে গ্রেফতার করেছিলেন। সিবিআই ইতিমধ্যে সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে।
সিবিআই কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০২১ সালে এমবিবিএস নির্বাচনের প্রক্রিয়ায়ও অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। এতে সন্দীপ ঘোষের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এ বিষয়টি একটি হুইসেলব্লোয়ার এবং আরজি কারের প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ আখতার আলী প্রকাশ করেছিলেন, যার ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইকে মামলার অর্থনৈতিক দিকটি তদন্ত করার নির্দেশ দেয়।
এদিকে, সিবিআই হাউস স্টাফের নির্বাচনে অনিয়মের প্রমাণও পেয়েছে। বিশেষ করে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আশীষ পাণ্ডেকে ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক অনিয়মের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তিনি বর্তমানে বিচারিক হেফাজতে আছেন। ইডিও এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে।