City Today News

রানীগঞ্জে বিস্ফোরণের পাথরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম, উত্তাল এলাকা

রানীগঞ্জ, ২৩ নভেম্বর: রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনিতে কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন কয়লা উত্তোলনের সময় বিস্ফোরণের কারণে পাথর উড়ে এসে পড়ছে আশপাশের গ্রামে। শনিবার দুপুরে এমনই একটি ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে ছাদ ফুটো করে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে বড় আকারের পাথর। সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান গ্রামবাসীরা। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

খনি ঘিরে উত্তেজনা: উৎপাদন বন্ধ, বিক্ষোভে উত্তাল গ্রামবাসী

ঘটনার পরপরই গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে খনিতে বিস্ফোরণ বন্ধের দাবি তোলেন। খনির উৎপাদন ও পরিবহন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। খনি সুরক্ষা কর্মীদের গাড়ি আটকে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে, গ্রামবাসীরা তাদের অভিযোগ জানান।

Screenshot 2024 11 23 204103

গ্রামবাসীদের তাণ্ডব: খনিতে ভাঙচুর

সন্ধ্যা নামতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একদল গ্রামবাসী খনির মধ্যে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ। খনি সুরক্ষা কর্মীদের গাড়ি, বড় বড় যন্ত্রপাতি, এমনকি খনি স্টাফদের থাকার ঘরও ভাঙচুর করা হয়। আতঙ্কে খনি কর্মীরা পালিয়ে যান। ঘটনার পরে গ্রামবাসীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও, পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত।

কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ও গ্রামবাসীর ক্ষোভ

এর আগেও একই রকম ঘটনা ঘটেছিল নারায়ণকুড়িতে। সেসময় খনি কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীদের সুরক্ষা ও সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। আবারও গ্রামবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাদের স্পষ্ট দাবি, আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়—খনিতে বিস্ফোরণ বন্ধ করতে হবে।

ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর বক্তব্য

একজন গ্রামবাসী বলেন, “আমাদের বাড়িতে পাথর এসে পড়ছে, ছাদ ভেঙে যাচ্ছে। সুরক্ষার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। আমরা আর কোনো প্রতিশ্রুতি শুনতে চাই না। বিস্ফোরণ বন্ধ হওয়াই আমাদের একমাত্র দাবি।”

তদন্ত ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। তবে গ্রামবাসীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ বন্ধ না হলে আন্দোলন আরও বড় আকার নেবে।

City Today News

ghanty

Leave a comment