কাঁকসার রাজবাঁধ এলাকায় অবস্থিত ন্যাশনাল অয়েল ইন্সটিটিউটের গেট বন্ধ করে ট্যাঙ্কার চালকরা তীব্র বিক্ষোভে ফেটে পড়ে, যার ফলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সকালবেলায় একটি ট্যাঙ্কার ইন্সটিটিউটে ঢোকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অন্যান্য ট্যাঙ্কার চালকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। এর ফলে, কোনো ট্যাঙ্কার ইন্সটিটিউটের ডিপোতে প্রবেশ করতে পারেনি এবং তেল লোডিংয়ের কাজ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি
ঘটনার খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ট্যাঙ্কার চালকরা তাদের দাবির বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের অভিযোগ, ইন্সটিটিউটের কিছু কর্মকর্তা বেসরকারি পরিবহন সংস্থার সাথে মিলে অবৈধভাবে তেল পরিবহন করছেন।
ট্যাঙ্কার ফিটনেসের নামে বাতিল হচ্ছে ট্যাঙ্কার
ট্যাঙ্কার চালকদের দাবি, তাদের ট্যাঙ্কার ফিটনেসের নামে ধারাবাহিকভাবে বাতিল করা হচ্ছে, যেখানে প্রকৃত কারণ অন্য কিছু। তাদের বক্তব্য, প্রায় ৩০০ ট্যাঙ্কার চালক এবং ক্লিনার এই কাজে জড়িত, এবং এই পদক্ষেপের ফলে প্রায় ৬০০ জন বেকার হওয়ার মুখে পড়েছেন।
উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হতাশা
ট্যাঙ্কার চালকরা বলেন, তারা এই বিষয়ে বহুবার কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, কিন্তু কোনো ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাননি। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, যতক্ষণ পর্যন্ত কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা তাদের সমস্যা সমাধান না করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো ট্যাঙ্কারকে তেল ডিপোতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বেকারত্বের সঙ্কট
এই বিক্ষোভ শুধুমাত্র তেল ডিপোর কার্যক্রমকেই ব্যাহত করেনি, বরং বহু পরিবারকে বেকারত্বের সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিক্ষোভকারী ট্যাঙ্কার চালক এবং তাদের পরিবার এখন এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।