আসানসোল: নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে একদিকে ক্লাব ও হোটেলগুলোতে ৩১ ডিসেম্বর রাত থেকেই পার্টির উত্সব চলতে থাকে, অন্যদিকে বহু মানুষ পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিক করে আনন্দ উদযাপন করেন। আবার একাংশের মানুষ নতুন বছরের শুরুতে দেব-দেবীর পুজো করে সারা বছর সুখ-সমৃদ্ধির কামনা করেন।
শিল্পাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় কেন্দ্র, বঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের নিকটস্থ মা কল্যাণেশ্বরী মন্দির এবং আসানসোলের মধ্যে অবস্থিত মা ঘাঘরবুঢ়ি মন্দিরে নতুন বছরের দিন ভোর থেকেই বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয়।
মন্দিরে ভক্তদের ভিড় এবং পূজার আয়োজন
মা কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের প্রধান গেটের বাইরেই রাস্তার ওপর দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। মন্দিরের পুরোহিত জানান, “ভোর ৩.৩০ টায় প্রথম পূজা অনুষ্ঠিত হয়, এবং তারপর থেকেই পূজা নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে।” তিনি আরও বলেন, “প্রতিবছর পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড উভয় রাজ্য থেকেই ভক্তরা এখানে পুজো করতে আসেন। হাজার হাজার ভক্ত মা-কে পুজো করেছেন এবং আশীর্বাদ গ্রহণ করেছেন।”
ভক্তদের মনের আশা
এখানে আসা ভক্তরা বলেন, “নতুন বছরের শুরুতে আমরা মা-এর আশীর্বাদ নিতে এসেছি। আমাদের একমাত্র প্রার্থনা হলো, নতুন বছর যেন সবার জন্য শুভ হয়।” ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাস এবং ভক্তির পরিবেশ নতুন বছরের দিনটিকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলে।
প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতির উপস্থিতি
নতুন বছরের এই বিশেষ দিনে, প্রাক্তন বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষণ ঘুরুই-ও মন্দিরে পুজো দিতে আসেন। তিনি মায়ের সামনে পুজো অর্চনা করে সকলের মঙ্গল কামনা করেন।
মা ঘাঘরবুঢ়ি মন্দিরেও ভক্তদের ভিড়
আসানসোলের মা ঘাঘরবুঢ়ি মন্দিরেও একই চিত্র দেখা যায়। ভক্তরা এখানে মায়ের কাছে নিজেদের এবং পরিবারের মঙ্গল কামনা করেন। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান যে, “প্রতি বছর এই দিনে ভক্তদের ঢল নামে।”
ভক্তদের বার্তা
উভয় মন্দিরে ভক্তরা জানান যে, নতুন বছরের শুরুতেই মায়ের কাছে আসার মাধ্যমে তাঁরা নিজেদের নতুন বছর শুভ এবং শান্তিপূর্ণ করার প্রার্থনা করেন।