আমেরিকায় অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়দের উপর নৃশংস আচরণ এবং শিখ সম্প্রদায়ের পাগড়ি খুলে আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া, তাদের চুল ও দাড়ি কেটে দেওয়ার ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দুর্গাপুরের তৃণমূল সাংসদ কৃতি আজাদ। বৃহস্পতিবার কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেসের এক বৈঠকে এই ইস্যু নিয়ে সরব হন তারা এবং আমেরিকার ট্রাম্প সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।
🔥 মমতার তোপ – “ভারত সরকারের নীরবতা কেন?”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,
“ভারতীয়দের উপর আমেরিকায় যে নির্যাতন চালানো হচ্ছে, তা লজ্জাজনক। শিখ সম্প্রদায়ের পাগড়ি ও দাড়ি-চুলের অপমান আসলে ভারতের সংস্কৃতির উপর আঘাত! কেন্দ্র সরকার কেন এই ইস্যুতে মুখ খুলছে না?”
তিনি কেন্দ্রকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন,
“ভারত সরকার কি কেবল ক্ষমতায় থাকার জন্যই কাজ করবে? বিদেশে আমাদের নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা কি তাদের দায়িত্ব নয়?”
🔥 শিখ সম্প্রদায়ের আবেগঘন বার্তা, মমতাকে ধন্যবাদ

সেন্ট্রাল গুরুদ্বারা কমিটির সভাপতি তজেন্দর সিংহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কৃতি আজাদকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,
“আমাদের শিখ ধর্মে পাগড়ি আমাদের পরিচয়ের প্রতীক। আমেরিকান সেনারা এটিকে আত্মহত্যার ঝুঁকি বলে অপমান করেছে এবং কেড়ে নিয়েছে! এটি পুরো শিখ সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক!”
তিনি আরও বলেন,
“আমাদের সরকার কোথায়? যারা আমাদের দেশের নাগরিকদের সঙ্গে এমন ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ভারত সরকারের উচিত তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার এবং যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।”

🔥 কেন্দ্র সরকারের কাছে শিখ সম্প্রদায়ের আবেদন
শিখ সম্প্রদায়ের তরফ থেকে কেন্দ্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যে, “ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে। আমাদের সম্মান রক্ষার জন্য ভারত সরকারকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে!”