আসানসোল: কোটি টাকার জমি কেলেঙ্কারিতে পুলিশ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুর্গাপুরের বড় জমি ব্যবসায়ী চন্দন শর্মা এবং আসানসোলের তাপস নন্দীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুকুর ভরাট ও অবৈধ জমি বিক্রির এই মামলায় আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ তাপস নন্দী ও চন্দন শর্মার জন্য ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল। তবে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
পুকুর ভরাট কেলেঙ্কারিতে বড় প্রকাশ
পালাশডিহ মৌজায় পুকুর ভরাট করে জমি বিক্রির অভিযোগে তাপস নন্দীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় মোট ২৯ জনের নাম রয়েছে। অন্যদিকে, চন্দন শর্মার বিরুদ্ধে পুরনো তিন বছরের দুটি মামলার পাশাপাশি সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
জ্যোতিনগরে জমি কেনা ব্যক্তিরাও অভিযুক্ত
জ্যোতিনগরে পুকুর ভরাট করে তৈরি জমি যারা কিনেছেন, তাদেরও অভিযুক্ত করেছে পুলিশ। এই মামলাগুলিতে পুলিশের পক্ষ থেকে ১৮টি ডিড রেজিস্ট্রি আদালতে পেশ করা হয়েছে। কেলেঙ্কারির মোট মূল্য কোটি টাকারও বেশি বলে জানা গেছে।
ভূ-মাফিয়াদের মধ্যে চাঞ্চল্য
উইলসন এবং দিনেশের গ্রেপ্তারের পর, এবার চন্দন শর্মা এবং তাপস নন্দীর গ্রেপ্তার ভূ-মাফিয়াদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় ২৯ জন অভিযুক্তের সম্পূর্ণ তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কঠোর পদক্ষেপের বার্তা
পুলিশ জানিয়েছে, পুকুর ভরাট এবং অবৈধ জমি বিক্রি শুধু পরিবেশের জন্য হুমকিই নয়, এটি সরকারের রাজস্বেরও বড় ক্ষতি করছে। এই পদক্ষেপ ভূ-মাফিয়াদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যে, কোনো অবস্থাতেই অবৈধ কার্যকলাপ সহ্য করা হবে না।
গভীর তদন্তে পুলিশ
জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বড় নেটওয়ার্ক উন্মোচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। আসানসোল উত্তর পিএস এ মামলা নং 161/21 এবং 162/22- তেও চন্দন শর্মা অভিযুক্ত। তদন্তে আরও অনেক নাম সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ভূ-মাফিয়ারা দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় সক্রিয় ছিল এবং অবৈধভাবে সরকারি জমি বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছিল।