[metaslider id="6053"]

কেন্দা গ্রামে সিঙ্কহোল দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির কড়া বার্তা!

সোমবার আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র এবং বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি কেন্দা গ্রামে সিঙ্কহোল দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে জিতেন্দ্র তিওয়ারির কড়া বার্তা! গ্রামে সিঙ্কহোল দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছান এবং সিঙ্কহোল এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, “গ্রামবাসীরা আমাকে দু’দিন আগেই আসার কথা বলেছিল, কিন্তু আমি ভেবেছিলাম সরকার দল এসে তাদের সমস্যা সমাধান করবে, কিন্তু তা হয়নি।

তাই আমি বিরোধী দলের নেতা হিসেবে এখানে এলাম। এখানে এসে যা দেখলাম, ব্রিটিশ আমলেও এমন পরিস্থিতি ছিল না। আজকের মতো অত্যাচার তখনও হয়নি। প্যাচ মালিকরা এখন জমিদার হয়ে গেছেন।

কে তৃণমূল নেতা আর কে প্যাচ মালিক, তা বোঝা মুশকিল। এই অসহায় মানুষগুলো কাকে যাবে? পঞ্চায়েত চোখ বন্ধ করে আছে, পঞ্চায়েত সমিতি কিছু বলে না। বিধায়ক শোনেন না, সাংসদ গান-বাজনায় ব্যস্ত। কেউ শোনেন না, এরা যাবে কোথায়? ভোটের সময় ভোট লুট হয়।”

তিনি আরও বলেন, “বিরোধী হিসেবে সরকারের ঘুম ভাঙানো আমার দায়িত্ব, এবং আমি সেটা করতেই এসেছি। তারা শুধু তার বেঁধে রেখে চলে গেছে। আমাদের দাবি, যদি এটি বসবাসের উপযুক্ত স্থান হয়, তাহলে জিএম এবং প্যাচ মালিক তাদের পরিবার নিয়ে এখানে এসে থাকুন, তবেই বুঝবেন বাস্তব অবস্থা। এরা কীভাবে ভয়ের ছায়ায় বাঁচে! গরীবদের জীবনের কোনও মূল্য নেই। দেওয়ালে ‘লক্ষ্মী ভাণ্ডার’ লেখা হয়।

এক হাজার টাকার জন্য এরা কি জীবন দিয়ে দেবে? গ্রামবাসীরা বলল, সিঙ্কহোলের কারণে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের দেহ আজও পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী ৪ বছর আগে বলেছিলেন যারা সরকারি জমিতে থাকে তারা সেই জমির মালিক হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা জমির পাট্টা পায়নি, যার কারণে ইসিএল থেকে তারা কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না।”

গ্রামবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছে যে, তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের প্রতিশ্রুতি পাচ্ছে কিন্তু বাস্তবে কোনও সাহায্য আসেনি। সিঙ্কহোল সমস্যার সমাধান না হলে বহু পরিবার বিপদের মধ্যে দিন কাটাবে।

ghanty

Leave a comment