আসানসোল: পশ্চিমবঙ্গে বেআইনি বালি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সিপিআইএম। বালির দাম লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া, জমি দখল, পুকুর ভরাট, এবং ভূমি পাট্টায় অনিয়মের প্রতিবাদে শুক্রবার কুলটি বিএলআরও অফিসে বিক্ষোভ মিছিল করল সিপিআইএম কুলটি এরিয়া কমিটি। পরে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে স্মারকলিপিও জমা দেয় দলটি। এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী এবং সিপিআইএম নেতারা।
তৃণমূল শাসনে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে! প্রশাসন বালি মাফিয়াদের কবলে – বংশগোপাল চৌধুরী
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের শাসনে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। জমি ও বালি মাফিয়াদের হাতে প্রশাসন চলে গেছে। পুলিশ-প্রশাসন নির্বিকার। চারদিকে জমি দখল চলছে, পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। বিএলআরও অফিসের কিছু কর্মীও এই মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, বালির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করছে, যারা প্রশাসনের একাংশকে ম্যানেজ করেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এর ফলে রাজমিস্ত্রি থেকে দিনমজুর, প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েছেন।
বিজেপি-তৃণমূলের সেটিং! কেন্দ্রও নীরব – বিস্ফোরক অভিযোগ সিপিআইএমের
বংশগোপাল চৌধুরী বিজেপির বিরুদ্ধেও তোপ দেগে বলেন, “তৃণমূল-বিজেপির গোপন বোঝাপড়া রয়েছে। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার রাজ্যের এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না, কারণ তারাও এই সিন্ডিকেটের সুবিধাভোগী।”
বিএলআরওর প্রতিক্রিয়া
সিপিআইএমের স্মারকলিপি প্রসঙ্গে কুলটির বিএলআরও সুশান্ত চক্রবর্তী বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে বালির মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে আমাদের অফিস কিছু করতে পারে না।”
ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ইঙ্গিত
সিপিআইএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি শীঘ্রই এই বেআইনি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে দল।