জামুরিয়া, চুরুলিয়া: অজয় নদীর মোহন ঘাট থেকে ১২ চাকা ও ১০ চাকার ট্রাকের মাধ্যমে বালি পাচার অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ট্রাকগুলো রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে বালি লোড করা হয়, যা স্থানীয়দের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশের মোহন গ্রামের প্রধান রাস্তা প্রায়ই বালি লোডিং করা ট্রাকের জন্য অচল হয়ে পড়ে। এতে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী—সকলেই চলাচলে ভীষণ অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার উপর ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখার ফলে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বালি পড়ে রাস্তা পিচ্ছিল হয়ে গেছে, যা পদচারীদের পা পিছলে পড়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই বালি মাফিয়ারা কারও কথাই শুনছে না। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বললেন, “আমাদের গ্রামে এখন যাতায়াত করাটাই দুর্বিষহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কুলে যাওয়ার সময় বাচ্চারা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকে। প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।”
একজন নিত্যযাত্রী বলেন, “এই বালি পাচার শুধুমাত্র আমাদের জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করছে না, অজয় নদীর পরিবেশও ধ্বংস হচ্ছে।”
দেশের মোহন গ্রামের বাসিন্দারা ইতিমধ্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে পঞ্চায়েত ও থানায় অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা বলছেন, যদি দ্রুত সমাধান না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
বালি মাফিয়াদের কাজের জন্য অজয় নদীর পরিবেশ দিন দিন অবনতি হচ্ছে। অবৈধ বালি উত্তোলন এবং পাচারের ফলে নদীর গতিপথ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন চলতে থাকলে ভবিষ্যতে নদীর ধ্বংসের সম্ভাবনা প্রবল।