হুগলি, রবীন্দ্রনগর:
স্মার্ট মিটার বসানোর পর বিদ্যুৎ বিল যেন বজ্রাঘাতের মতো নেমে এসেছে হুগলির রবীন্দ্রনগর কালীতলার বাসিন্দাদের ওপর! কেউ একজন নয়, একাধিক পরিবার দাবি করেছেন, গত মাসে স্মার্ট মিটার বসানোর পর চলতি মাসে তাঁদের বিল এসেছে দ্বিগুণ বা তিনগুণ। বিলের অঙ্ক দেখে অনেকেরই চোখ কপালে।
সোমবার সকাল থেকেই হুগলির মোড়ে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকার বহু বাসিন্দা। তাঁরা দাবি করেন, তাঁদের অনুমতি ছাড়াই জোর করে স্মার্ট মিটার বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের বক্তব্য, “এক মাসে হাজার হাজার টাকার বিল! আমরা দেব কী করে? আগে যা বিল আসত, এখন তার তিনগুণ!”
এদিন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা দফতরের স্টেশনের ছোট বাবুর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান এবং পুরোনো মিটার ফেরতের দাবিতে সরব হন।
বিদ্যুৎ দফতরের ব্যাখ্যা কী বলছে?
এই প্রসঙ্গে হুগলি রিজিয়ন বিদ্যুৎ দফতরের রিজিওন্যাল ম্যানেজার মধুসূদন রায় জানান— “স্মার্ট মিটার নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আগের মিটারগুলিতে একাধিক ইউনিট পেন্ডিং ছিল। এখন স্মার্ট মিটার বসানোর পর সেই বকেয়ার হিসেবও প্রথম বিলে ধরা পড়ছে, তাই বিল বেশি মনে হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, আগে কোয়ার্টারলি ভিত্তিতে বিল দেওয়া হত, এখন প্রতি মাসে। ফলে হঠাৎ বিলের অঙ্ক বেড়ে যাওয়াটা একপ্রকার হিসেবের বদল।
যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন, তাঁদের কিস্তির মাধ্যমে বিল পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছেন ম্যানেজার।
বিশেষজ্ঞদের মত:
বিদ্যুৎ সংস্থার এক অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার জানান, স্মার্ট মিটার প্রকৃতপক্ষে আরও স্বচ্ছ বিলিং ব্যবস্থা তৈরি করে। তবে গ্রাহকদের আগেই সচেতন না করলে বিভ্রান্তি তৈরি হওয়া স্বাভাবিক।