বীরভূম (বোলপুর), ৩ ডিসেম্বর: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে ইডি-র অভিযানের খবর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। গরু পাচার মামলায় যখন অনুব্রত মণ্ডল জেলে ছিলেন, তখন এই কলেজের এক প্রধান নেতা মলয় পিটকে সিবিআই এবং ইডি বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তবে, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডি কেন এই অভিযান চালিয়েছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।
দুর্গাপুরেও ইডি-র অভিযান
অন্যদিকে, দুর্গাপুরের কাঁকসার মালানদিঘির কাছে একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও ইডি অভিযান চালিয়েছে। জানা গেছে, ইডি আধিকারিকরা সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে দু’টি গাড়িতে ওই কলেজে পৌঁছান। শোভাপুরের বিজন এলাকার একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজেও ইডি-র দল চারটি গাড়ি নিয়ে অভিযান চালিয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
কীসের জন্য এই অভিযান?
ইডি সূত্রে জানা গেছে, মেডিক্যাল ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি এবং বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এই অভিযানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি এবং ইডি-র সক্রিয় ভূমিকা বিষয়টিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, এর সঙ্গে কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির যোগসাজশ থাকতে পারে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিক্রিয়া
এই অভিযান নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন যে, মেডিক্যাল কলেজগুলির কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং এই তদন্তে সব তথ্য প্রকাশ্যে আসা দরকার।