আসানসোল: ইসিএল (ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড) এর একজন কর্মী কর্তৃক নব্যনিযুক্ত কর্মচারীর কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার মামলায় আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালত বড় রায় দিয়েছে। সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী দোষী কর্মী সন্দীপ সাধুকে ১০ বছরের কঠোর কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানা না দিলে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মামলার সম্পূর্ণ বিবরণ:
সন্দীপ সাধু, যিনি ইসিএল সদর দপ্তর সাঁকতোড়িয়ার ডিসপ্যাচ বিভাগে কর্মরত ছিলেন, ওড়িশার ঝারসুগুড়া জেলার বাসিন্দা অজয় দাসের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ পাওয়ার পর সিবিআই একটি ফাঁদ পাতে এবং ২০১৮ সালের ৩ মে সন্দীপকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে।
অজয়ের মৃত্যু এবং মামলা: মামলার প্রধান অভিযোগকারী অজয় দাস পরে মারা যান, তবে তবুও মামলা চলতে থাকে এবং প্রায় ৬ বছর পর সন্দীপকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এই মামলায় মোট ১৩ জন সাক্ষী সিবিআই আদালতে সাক্ষ্য দেন। তবে এই মামলায় অন্য দুই অভিযুক্তকে পরে আদালত খালাস দেয়।
সিবিআই এর কার্যক্রম: এই মামলায় সিবিআই পিসি অ্যাক্টের ৭/৮, ১৩(১)(ডি), আর/ডব্লিউ ১৩/২ ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০/বি ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করেছিল। সিবিআই আইনজীবী রাকেশ কুমার সিং জানিয়েছেন, সন্দীপকে ঘুষ নেওয়ার সময় আটক করা হয়েছিল এবং আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।
সন্দীপের পরবর্তী পদক্ষেপ: সন্দীপ সাধুর আইনজীবী আদালতের এই রায়ের বিরোধিতা করে বলেছেন যে তিনি উচ্চ আদালতে আপিল করবেন এবং এই সাজা বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এলাকায় আলোচনা: এই মামলা আসানসোল এবং তার আশেপাশের এলাকায় খুব বিখ্যাত হয়েছে। ইসিএল-এর মতো বড় সংস্থায় ঘুষের এই ঘটনা অনেক প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সন্দীপ সাধুর শাস্তি ঘোষণার পর নিরাপত্তা এবং সততা নিয়ে কর্মচারী এবং কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।