দুর্গাপুর: শহরের কেন্দ্রীয় বাস স্ট্যান্ডের পাশে শ্রিজনী হলের সামনে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তি আজ যেন অবহেলা ও অপমানের চিহ্নে পরিণত হয়েছে। সিপিআইএম থেকে শুরু করে তৃণমূল কর্মী ইউনিয়নের পতাকা দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে কবির মূর্তি। শীতের হাওয়ায় পতাকাগুলি দোল খাচ্ছে আর বিদ্রোহী কবি যেন মুখ লুকিয়ে অপমানে নিমজ্জিত।
শহরের ইতিহাস ও এই অবমাননা
১৯৯৯ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট বোর্ডের মেয়র রথীন রায়-এর হাত ধরে শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবিতে মূর্তিটি উন্মোচন করা হয়। আজ সেই মূর্তি ঢেকে রয়েছে তাদেরই লাল পতাকায়। একইসঙ্গে তৃণমূলের পতাকাও কবির মূর্তির উপর পতপত করে উড়ছে।
প্রশাসনের উদাসীনতা এবং বুদ্ধিজীবীদের ক্ষোভ
এই হাই-প্রোফাইল এলাকা দুর্গাপুর পুলিশ স্টেশনের শহর কেন্দ্র চৌকি ও পুরনিগমের কাছাকাছি। তা সত্ত্বেও কাজী নজরুল ইসলামের মূর্তির অপমানজনক চিত্র কারও চোখে পড়ছে না! শহরের শিক্ষিত সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের প্রশ্ন—
“প্রশাসন কী করছে? পুরনিগম কী করছে? এত অবহেলা কেন?”
রাজনৈতিক নেতাদের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনার প্রসঙ্গে জেলাস্তর তৃণমূল সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় ঘটনাটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, “কাল দলীয় সম্মেলন উপলক্ষে পতাকা তোলা হয়েছে।”
অন্যদিকে সিপিআইএমের জেলা নেতা সিদ্ধার্থ বসু বলেন, “তৃণমূলের দুর্নীতি এই বাংলার সংস্কৃতিকে কলুষিত করেছে।”
বিজেপি জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং দুই দলই বাংলার সামাজিক অবক্ষয়ের জন্য দায়ী।”
শহরবাসীর আহ্বান
এই অবমাননার ছবি কি মুছে যাবে না? বিদ্রোহী কবির মূর্তি কেন রাজনৈতিক স্বার্থে ঢেকে ফেলা হবে? এর দায় কি কেউ নেবে না?