আজ ধনতেরাস, আর এর মাধ্যমেই শুরু হলো দীপাবলির আলোয় ভরা উৎসব। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এই উৎসবের ঐতিহ্যিক সাজে আজ একটি বড় পরিবর্তন এসেছে। আগের দিনে দীপাবলিতে বাড়ি আলোকিত করার জন্য মাটির প্রদীপের কদর ছিল বেশি, যেখানে আজ তার জায়গা নিয়েছে ইলেকট্রনিক লাইট। বাজারে এখন ইলেকট্রনিক লাইটের বন্যা বইছে, ফলে মাটির প্রদীপের চাহিদা কমে গেছে। এদিকে এই কুটির শিল্পের ওপর নির্ভরশীল অসংখ্য পরিবার তাদের জীবিকা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
বিক্রেতার কণ্ঠে হতাশা: মাটির প্রদীপ বিক্রেতা চন্দন পণ্ডিত জানাচ্ছেন, “আমাদের ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। আগে দীপাবলির সময় যে পরিমাণ প্রদীপ বিক্রি হতো, তা এখন অনেকটাই কমে গেছে। এমনকি এই সময়টাতে আমাদের পরিবারের ছোট ছোট বাচ্চারাও পড়াশোনা ছেড়ে দোকানে সাহায্য করতে আসে, কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে।”
ক্রেতার আবেদন: অন্যদিকে ক্রেতা সঞ্চিতা আগারওয়াল সবাইকে মাটির প্রদীপ কেনার অনুরোধ করছেন। তার মতে, “দীপাবলির আসল রূপ মাটির প্রদীপেই ফুটে ওঠে। যদি আমরা সবাই মাটির প্রদীপ কিনি, তাহলে একদিকে আমাদের ঐতিহ্য রক্ষা হবে, অন্যদিকে এই কুটির শিল্পে নির্ভরশীল পরিবারগুলোর মুখে হাসি ফুটবে।”
বিস্তারকারী বিদ্যুৎ সংযোগের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে আলো-ছোঁয়ার মানবিক আবেদন: এই আলো উৎসবে মাটির প্রদীপ কেনার মাধ্যমে কিছু পরিবর্তন আনা যায়, যাতে কুটির শিল্পের সাথে যুক্ত মানুষদের আয় বাড়ে এবং দীপাবলির আনন্দ তাদের বাড়িতেও পৌঁছায়।