কুলটি: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হুশিয়ারীর পর বালির দাম বেড়ে গেছে দ্বিগুণেরও বেশি, যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন সিপিআইএম নেতারা। কুলটি এরিয়া ১ কমিটির সম্পাদক দেবানন্দ প্রসাদ নেতৃত্বে সিপিআইএম কর্মী ও সমর্থকরা নিয়ামতপুরে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন। মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতারা জানান, “গরিব মানুষের পেটে লাথ পড়ছে। রাজমিস্ত্রি ও শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছে, আর বালির মূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে তাদের আয়ও কমে গেছে।”
বালির মূল্য অত্যধিক বাড়ানোর প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীকে হাতজোড় করে আবেদন করেছেন যাতে দ্বিতীয়বার হুশিয়ারী না দেন। তাদের দাবি, “একটি হুশিয়ারীর পর বালির দাম চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায় পৌঁছে গেছে, যা আগে মাত্র ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হতো।” তারা আরও বলেছেন, “এমন অবস্থায় যদি মুখ্যমন্ত্রী আরেকটি হুশিয়ারী দেন, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে এবং বালির দাম কোথায় পৌঁছাবে, তা আমরা জানি না।”
দেবানন্দ প্রসাদ বলেন, “এটি একটি বড় সংকট। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন যে এটি ২৫ শতাংশ এবং ৭৫ শতাংশের ভাগবাটোয়ারার ব্যাপার।” তিনি আরও বলেন, “এভাবে বালির দাম বাড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বিশেষ করে নির্মাণ শ্রমিকরা, যারা এই অতি দাম বৃদ্ধির ফলে কাজ হারাচ্ছেন।”
এই প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মীরা একযোগে মুখ্যমন্ত্রীকে আরও একবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, বালির দাম নিয়ন্ত্রণে আনা হোক এবং শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করা হোক।