জামুড়িয়া: দীর্ঘ আড়াই বছর পর আবারও চোরের দাপট কুনুস্তোড়িয়ায়! মঙ্গলবার গভীর রাতে নির্জন বাড়িগুলো লক্ষ্য করে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ির অধীনে কুনুস্তোড়িয়া খুনি আবাসনের পুরনো ব্যাংকপাড়া এলাকায় চোরের দল চারটি বাড়িতে হানা দেয়। যদিও তিনটি বাড়ির দরজা ভেঙে ঢুকতে ব্যর্থ হয় চোরেরা, তবে এক বাড়ি থেকে সোনা-গহনা ও নগদ অর্থ লুট করে চম্পট দেয়।
চোরের নিশানায় কোন কোন বাড়ি?
চোরের দল এই রাতের নির্জনতার সুযোগ নিয়ে এমন সব বাড়ি লক্ষ্য করেছিল যেখানে সদস্যরা অনুপস্থিত। এদিন, ফিরোজ হুসেনের বাড়ির তালা ভেঙে আলমারি লুটপাট চালানো হয়। সেখান থেকে সোনার গয়না ও ছোটদের মাটির ভাড়ে জমানো টাকা নিয়ে চোরেরা পালিয়ে যায়।
এছাড়া,
- রাম লক্ষ্মণ মণ্ডল
- সুরোজ নুনিয়া
- এমডি কালাম-এর বাড়িতেও চুরির চেষ্টা চালায় চোরের দল।
তবে সুরোজ নুনিয়ার বাড়ির দরজা লোহার পাত দিয়ে তৈরি থাকায়, চোরেরা সেটি ভাঙতে ব্যর্থ হয়। চুরির শব্দে এলাকাবাসী জেগে উঠলে চোরেরা দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে জঙ্গলে গা ঢাকা দেয়।
আবার সক্রিয় পুরনো চোরের দল? আতঙ্কিত এলাকাবাসী!
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, প্রায় আড়াই বছর আগে এই এলাকায় একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেছিল। তখন পুলিশ ১০ জন দুষ্কৃতকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল, এরপর থেকে চুরি বন্ধ হয়। কিন্তু এবার আবারও নতুন করে সেই পুরনো চোরেরা সক্রিয় হয়েছে কি না, তা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
পুলিশের পদক্ষেপ ও সতর্কবার্তা!
- কেন্দা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে।
- এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হবে বলে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।
- পুলিশ স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলেছে এবং বাড়ি খালি থাকলে প্রতিবেশীদের জানানোর পরামর্শ দিয়েছে।
চুরির ঘটনা রুখতে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে চুরি অনেকটাই ঠেকানো সম্ভব। যেমন—
✔ CCTV লাগানো
✔ রাতের বেলা এলাকায় টহলদারি বাড়ানো
✔ প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা
✔ বাড়ি খালি রেখে গেলে আত্মীয় বা পরিচিত কাউকে জানানো