বরাবনি : পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ডে আলু পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যবসায়ীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, কিছু ব্যবসায়ী আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে নতুন উপায় অবলম্বন করার চেষ্টা করছেন।
গতকাল রাতে, একটি ১২-চাকার ট্রাক পশ্চিমবঙ্গ থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাচ্ছিল। রুনাকুরা ঘাট, যা বাংলাদেশ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত, সেখানে বরাবনি পুলিশ ওই ট্রাকটি আটকায়। পুলিশ বৈধ কাগজপত্র চায় এবং জিজ্ঞেস করে, ট্রাকে কী মাল লোড করা হয়েছে। চালক দাবি করে যে, ট্রাকে আলু বোঝাই করা হয়েছে। তবে, ট্রাকের নথিতে স্পষ্ট লেখা ছিল পলিথিন লোড করা হয়েছে।
পুলিশের তৎপরতা
পুলিশ ট্রাক চালক এবং সহকারীকে হেফাজতে নেয় এবং ট্রাকটি থানায় নিয়ে আসে। আজ সকালে, চালক ও সহকারীকে আসানসোল কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
অবৈধ বালু পাচারেও নজরদারি
অন্যদিকে, গতরাতে আমুলিয়া ঘাট থেকে নদী থেকে বালু নিয়ে একটি ট্র্যাক্টর আসছিল। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ট্র্যাক্টরের চালক এবং সঙ্গে থাকা একজনকে আটক করে। আজ তাদেরও আসানসোল কোর্টে পেশ করা হয়েছে।
অতিরিক্ত তথ্য
বরাবনি পুলিশের দাবি, আলু পাচারের ক্ষেত্রে পলিথিন বা অন্যান্য মালামালের নাম ব্যবহার করে কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও, নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন এবং পরিবহন কঠোর নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।