আসানসোল, মঙ্গলবার:
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি না পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করল আদিবাসী স্টুডেন্ট অ্যান্ড ইয়ুথ ফোরাম। মঙ্গলবার আসানসোলের লেবার অফিসে একটি দাবিপত্র (মেমোরান্ডাম) জমা দেওয়া হয় এবং কর্মসংস্থানের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
🎓 পূর্ণিমার কণ্ঠে ক্ষোভ: “আদিবাসী বলেই কি আমরা চাকরি পাব না?”
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন আদিবাসী ছাত্রী পূর্ণিমা হাঁসদা, যিনি অভিযোগ করেন,
“আমি বারবার আবেদন করেও Burnpur-এর SAIL-এ চাকরি পাচ্ছি না। আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য হওয়ায় আমাকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি একাধিকবার আবেদন করেছেন, কিন্তু নির্বিকারভাবে তার আবেদনগুলো উপেক্ষা করা হয়েছে।
🏭 স্থানীয় শিল্পে বাইরে থেকে লোক! ক্ষোভে ফুঁসছে আদিবাসী যুবসমাজ
ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, আসানসোল ও বর্ধমান জেলার অসংখ্য শিক্ষিত আদিবাসী যুবক-যুবতী দীর্ঘদিন ধরে বেকার। অথচ স্থানীয় শিল্প-কারখানাগুলিতে বহিরাগতদের নিয়োগ করা হচ্ছে। এমন এক অসম বণ্টন এবং অনাচারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন।
📜 দাবিপত্রের মূল দাবি:
- SAIL-ISP-সহ স্থানীয় শিল্পগুলিতে স্থানীয় যুবকদের অগ্রাধিকার দিন
- আদিবাসীদের জন্য সংরক্ষিত পদে সত্বর নিয়োগ করুন
- পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও ন্যায়সংগত হোক
🚨 সতর্কবার্তা: “চাকরি না দিলে বৃহৎ আন্দোলন আসছে”
ফোরামের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—
“চাকরি যদি না মেলে, তাহলে আগামী দিনে বৃহৎ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন।”
তাঁদের দাবি, বঞ্চিতদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে, এবার লড়াই ছাড়া আর কোনো পথ নেই।
🗣️ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ, রাজনৈতিক মহলেও চাপ
এই ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলির তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চলছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রতি বঞ্চনার এই ধারাকে ভাঙতেই এই প্রতিবাদ, এমনটাই বলছেন ফোরামের নেতৃত্ব।