আসানসোল, ২৬ নভেম্বর: জেলা প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের টাস্ক ফোর্স গতকাল সন্ধ্যায় আসানসোলের প্রধান বাজার পরিদর্শন করেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন)-এর নেতৃত্বে গঠিত এই দলে EB টিম, DMDC, কৃষি বিপণন বিভাগ এবং RMC-র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য সবজির বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং সাধারণ মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করা।
বাজার পরিদর্শন এবং অভিযোগ শোনা:
পরিদর্শনের সময় দলটি বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখেন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। আলু, পেঁয়াজ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবজির দাম সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হয়। এছাড়া, কোথাও অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দলটি ক্রেতাদের সঙ্গেও কথা বলে তাদের সমস্যা শোনে। অনেক ক্রেতাই জানিয়েছেন যে সবজির দাম এখনও নাগালের বাইরে এবং কোনও প্রভাবশালী পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন যে পাইকারি বাজারের দামের উপর নির্ভর করে খুচরা দাম নির্ধারিত হয়, ফলে তারা কোনও পদক্ষেপ নিতে অক্ষম।
স্বাস্থ্যবিধি এবং খাদ্য সুরক্ষা মান:
পরিদর্শনের সময় বাজারে পরিচ্ছন্নতা এবং খাদ্য সুরক্ষা মান বজায় রাখার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। টাস্ক ফোর্স নিশ্চিত করেছে যে বাজারের সবজির মান সঠিকভাবে রক্ষা করা হচ্ছে এবং ক্রেতাদের স্বাস্থ্যের প্রতি কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না।
মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের পদক্ষেপ:
প্রশাসন থেকে ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে পাইকারি এবং খুচরা মূল্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এছাড়া, মজুতদারি এবং কালোবাজারি ঠেকাতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে, তবে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলেছেন, “যদি নিয়মিত অভিযান হয়, তবে দামের উপর কোনও প্রভাব পড়ছে না কেন?”
সাধারণ মানুষের হতাশা:
সকালেও আলু-পেঁয়াজের দাম এবং অন্যান্য সবজির দাম অপরিবর্তিত। ক্রেতারা বলছেন, “সব কিছুর দাম আকাশছোঁয়া। প্রশাসন অভিযান চালাচ্ছে, কিন্তু দামের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না।” বিক্রেতারা পাল্টা যুক্তি দিয়ে জানিয়েছেন যে পাইকারি বাজার থেকে দাম না কমলে তারা সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না।