আসানসোল ক্লাবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর থেকেই ক্লাব সদস্যদের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ সদস্য বলছেন, গত কয়েকদিন ধরে ক্লাবে একটি “হুমকির সংস্কৃতি” চালু হয়েছে। এর ফলে ক্লাবে আসা সদস্যদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। যারা আসেন তারাও অন্যদের সঙ্গে কথা না বলে চুপচাপ খাবার খেয়ে চলে যাচ্ছেন। বেশিরভাগ সদস্যই মন্তব্য দেওয়ার পর অনুরোধ করছেন যেন তাদের নাম প্রকাশ না করা হয়। ক্লাবের বাইরে বোর্ডে লেখা রয়েছে “অনুগ্রহ করে ক্লাবে শৃঙ্খলা ও শালীনতা বজায় রাখুন,” যা কিছুটা প্রভাব ফেলেছে, কারণ এখন অনেকেই ক্লাবের অসদাচরণকারী সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
ক্লাব সভাপতি অমরজিৎ সিং ভরারা জানিয়েছেন যে, ক্লাবে কোনো হুমকির সংস্কৃতি নেই। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তিনি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং তা ইতিমধ্যেই ফলাফল দিতে শুরু করেছে। ভরারা আরও বলেন, তিনি কোনও পরিস্থিতিতেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ্য করবেন না এবং প্রয়োজনে নিজের ছেলে বা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবেন না। কিছু সদস্য ক্লাবের পরিবেশ নষ্ট করা এবং আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টিকারী সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন। তারা চান যে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে একটি বিশেষ সাধারণ সভা ডাকা হোক এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
তবে, ক্লাব সভাপতির ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণে ক্লাবের বিষয়ে অধিক সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় ক্লাবের পরিবেশ উন্নত করতে সদস্যদের মধ্যে আরও সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার বলে মনে করছেন অনেকেই।