রবিবার আসানসোল বইমেলা ২০২৪-এর উদ্বোধন হয় অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে। অনুষ্ঠানের সূচনা হয় এক বর্ণাঢ্য র্যালি এবং ঐতিহ্যবাহী প্রদীপ প্রজ্বালনের মাধ্যমে। আসানসোলের এনসিসি গ্রাউন্ডের পাশে পলো গ্রাউন্ডে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, মন্ত্রী মালয় ঘটক, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাপতি বিশ্বনাথ বাউরি, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, মেয়র পরিষদ সদস্য গুরুদাস চ্যাটার্জি এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে সংস্কৃতির উন্নতি
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টায় রাজ্যজুড়ে এমন সাহিত্যিক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে।” তিনি আরও জানান, “আজকের যুবসমাজ এই মেলার মাধ্যমে তাদের সংস্কৃতি জানতে এবং তাদের ভবিষ্যৎ উন্নত করার সুযোগ পাবে। এই মেলা শিক্ষিত ও ক্ষমতায়িত করার একটি মাধ্যম।”
বইয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর উদ্যোগ
অন্য এক রাজ্যের মন্ত্রী মালয় ঘটক বলেন, “আজকের যুবসমাজ বই থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং মোবাইলের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই বইমেলা যুবসমাজকে বই পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে এবং তারা জ্ঞানার্জনের প্রাচীন ঐতিহ্য আবারও গ্রহণ করতে পারবে।
সংস্কৃতি ও শিক্ষার মিলনমেলা
এই মেলা শুধুমাত্র বই বিক্রির একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, এটি যুবসমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণার মঞ্চ। এমন আয়োজন সমাজে সাহিত্য এবং সংস্কৃতির গুরুত্ব পুনরুজ্জীবিত করার একটি প্রচেষ্টা।
মেলার আকর্ষণ
- ১০,০০০-এরও বেশি বইয়ের সংগ্রহ: মেলায় বিভিন্ন বিষয়ে বই পাওয়া যাবে।
- সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান: লোকনৃত্য, গান এবং নাটকের পরিবেশনা।
- বিশেষ অতিথি সেশন: প্রখ্যাত লেখক এবং কবিদের সাথে সরাসরি আলাপ।
- ডিজিটাল বুক স্টল: ই-বুক এবং অনলাইন বই কেনার সুযোগ।
মেলায় প্রথম দিন থেকেই বিপুল উৎসাহ
প্রথম দিন থেকেই মেলায় ভিড় উপচে পড়েছে। শিশু, যুবক এবং বয়স্করা বিভিন্ন স্টলে ঘুরে বই কিনছেন। একজন সাহিত্যপ্রেমী বলেন, “এই মেলা সমাজে বই এবং সাহিত্য চর্চার গুরুত্বকে নতুন করে তুলে ধরছে।”