আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতেই তৃণমূল কংগ্রেস সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। এই কেন্দ্রগুলি হল পাণ্ডবেশ্বর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া, আসানসোল উত্তর ও বারাবনি। বিজেপি কেবল আসানসোল দক্ষিণ ও কুলটিতে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের তুলনায় আসানসোল দক্ষিণে ১২ হাজারের বেশি এবং কুলটিতে ১৫ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস পাণ্ডবেশ্বরে প্রায় ৪০ হাজার ভোটে, রানিগঞ্জে ৪ হাজারের বেশি ভোটে, জামুরিয়ায় প্রায় ১২ হাজার ভোটে, আসানসোল উত্তরে ৪ হাজারের বেশি ভোটে এবং বারাবনীতে ২৫ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছে।
আসানসোল কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে ৫৯ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন। অন্যদিকে, যে আসানসোল একসময় লালদুর্গ বলে পরিচিত ছিল, সেখানে সিপিএম প্রার্থী জাহানারা খানের অবস্থা বেশ খারাপ। মোট ১ লক্ষ ৫ হাজার ৯৬৪ ভোট পেয়ে তাঁর স্থান তৃতীয়। গত কয়েকটি নির্বাচনে এই শিল্পাঞ্চলে সিপিএমের ফল হতাশাব্যঞ্জক। অন্যদিকে, বাবুল সুপ্রিয় তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকে পরপর দু’টি লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এখানে হারল। মলয় ঘটকের আসানসোল শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের শক্তি মজবুত। এবারের জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মলয়ের গুরুত্ব আরও বাড়াল বলে মনে করা হচ্ছে।