তিজারা: তিজারার মোনী বাবা গোশালায় গো-মাতার উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছে শ্রী রামচরিত মানসের অখণ্ড পাঠ। পূজা-অর্চনা এবং ধর্মীয় রীতি মেনে শুরু হওয়া এই পাঠ ২৪ নভেম্বর হবন ও প্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে। বিপুল সংখ্যক ভক্ত ও গোসেবক এই ধর্মীয় আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন।
গো-মাতার সেবায় গৌরবময় উদ্যোগ
এই রামায়ণ পাঠের আয়োজন করেছে গউ জ্ঞান টিমের আলওয়ার ইউনিট, গোসেবক এবং গোশালা পরিচালনা কমিটি। গউ জ্ঞান টিম গো-মাতার সেবা এবং সনাতন ধর্মের প্রচারে সারা দেশে কাজ করে আসছে।
গউ জ্ঞান ইউনিটের অ্যাডভোকেট সূর্যকান্ত শর্মা জানিয়েছেন, এই অখণ্ড রামায়ণ পাঠ রাজস্থান এবং হরিয়ানার সেই অজানা গোভক্তদের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে, যাঁরা গো-তস্করদের কবল থেকে গবাদি পশুদের মুক্ত করেছিলেন।
গোশালা পরিচালনা কমিটির সম্পাদক দেশপাল যাদব জানিয়েছেন, এই পাঠে গবাদি পশুদের তৈরি পণ্য ব্যবহার করা হয়েছে এবং শেষে গো-উৎপাদিত প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
মনী বাবা গোশালার বিশেষত্ব
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গোশালা জেলার সেরা ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের জন্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে। গো-মাতার সুরক্ষা ও সংরক্ষণে এটি রাজ্যের মধ্যে একটি অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। এই প্রথমবার গো-মাতার উদ্দেশ্যে রামায়ণ পাঠের আয়োজন করা হলো, যা জেলা ও রাজ্যের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ করেছে।
উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বরা
এই বিশেষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সহ-সভাপতি সিংহ ভিদুড়ি, সম্পাদক দেশপাল যাদব, অ্যাডভোকেট সূর্যকান্ত শর্মা, অজয় শর্মা, অনিল দাহিয়া, পণ্ডিত মণীশ শর্মা, পণ্ডিত গোপাল শর্মা, পল্টুরাম চৌধুরী, কালু কাসানা, লক্ষ্মীনারায়ণ শর্মা, চেতন শর্মা, কৈলাস শর্মা, ডঃ চরন সিং, আদম গুর্জর, দুষ্যন্ত যাদব, দীপক শর্মা এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয়রা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং একে সনাতন ধর্মের সংস্কৃতি প্রচারে এক নতুন দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। গো-মাতার সেবার জন্য এমন উদাহরণ রাজ্যের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে বলে প্রত্যাশা করেছেন।