রিপোর্ট: সঞ্জীব কুমার যাদব | বরাকর

বরাকর শহরের নদীতীরের রেলওয়ে ব্রিজ সংলগ্ন মাদ্রাসি পাড়ার শিবমন্দির প্রাঙ্গণে শিব শক্তি কমিটির উদ্যোগে দুইদিনব্যাপী বিশেষ ধর্মীয় আয়োজন অনুষ্ঠিত হল। ভক্তিময় পরিবেশে শুরু হয় ২৪ ঘণ্টার অখণ্ড হরিনাম সংকীর্তন, যা মন্দির চত্বরকে রীতিমতো বৈষ্ণব মহোৎসবে পরিণত করে।

🔱 পূজারম্ভ ও শিব-পার্বতী কাহিনি

অনুষ্ঠানের সূচনা করেন প্রধান পূজারী রোহিত তিওয়ারি, যিনি ভগবান শিবের পূজা-অর্চনার পর সংকীর্তনের শুভারম্ভ করেন। তিনি ভগবান শিব ও মাতা পার্বতীর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাহিনিগুলিও শ্রোতাদের মাঝে তুলে ধরেন, যা উপস্থিত ভক্তদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।

🎵 ভজন মন্ডলীর জয়জয়কার

এই ধর্মীয় আয়োজনে আসানসোলের মণীশ গ্রুপ ও বরাকরের স্থানীয় ভজন মন্ডলী অংশগ্রহণ করে। তাঁদের তালে তালে পুরো প্রাঙ্গণে “হরে রাম হরে কৃষ্ণ” ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। মধ্যরাতে ঢাক-মাদল, মৃদঙ্গ ও করতালের ধ্বনিতে রীতিমতো এক দেবভবনের আবহ তৈরি হয়।

🙏 সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান

এই মহোৎসবের এক বিশেষ মুহূর্তে সাবেক কাউন্সিলর পাপ্পু সিং ও স্থানীয় সাংবাদিকদের শাল ও দुपট্টা দিয়ে সম্মান জানানো হয়, যারা সমাজ ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রচারে বরাবর অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন।

👥 কমিটির বিশিষ্ট সদস্যদের উপস্থিতি

এই অনুষ্ঠানের সফলতার পেছনে যাঁরা নিরলসভাবে কাজ করেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন: জমুনা গুপ্ত, মহেশ চন্দ্র তিওয়ারি, অমরজিৎ গুপ্ত, দিনেশ প্রসাদ, সুরেশ বিষকর্মা, গোপী সোনি, আজাদ, শ্যাম পাশবান, বুঢ়া যাদব, অমিত গুপ্ত, রঞ্জিত সাঁও প্রমুখ।

✨ ভক্তি, সংস্কৃতি ও সামাজিক সৌহার্দ্যের মেলবন্ধন

শিব শক্তি কমিটির এই ধর্মীয় উৎসব কেবলমাত্র পূজা বা কীর্তনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, এটি ছিল ভক্তি, সংস্কৃতি ও সামাজিক সংহতির এক বাস্তব চিত্র। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সকলের অংশগ্রহণে বরাকর যেন এক মহাতীর্থে রূপান্তরিত হয়েছিল।