কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের সূচনা করেন। কেন্দ্রের ‘আবাস যোজনা’-র জন্য গত তিন বছর ধরে কোনো অর্থ বরাদ্দ না করার অভিযোগ তুলে তিনি জানান, এই প্রকল্পটি সম্পূর্ণ রাজ্য সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত হবে।
প্রকল্পের প্রথম ধাপের অর্থ বিতরণ মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য পরিচালিত জরিপে ২৮ লক্ষ প্রকৃত উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক উপভোক্তার জন্য মোট ১.২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম ধাপে ১২ লক্ষ উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৬০,০০০ টাকা স্থানান্তরিত করা হয়।
মমতার আক্রমণাত্মক বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার গত তিন বছর ধরে বাংলার দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে। আমরা ভিক্ষুক নই, আমাদের অধিকার চাই।” তিনি আরও জানান, যদি কেন্দ্র অর্থ না দেয়, তাহলে রাজ্য ১৬ লক্ষ উপভোক্তার মধ্যে ৮ লক্ষকে মে-জুন মাসের মধ্যে এবং বাকি ৮ লক্ষকে ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ প্রদান করবে।
অর্থনৈতিক দায়ভার রাজ্যের জন্য এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪,৭৭৩ কোটি টাকা। মমতা বলেন, “কেন্দ্র তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। বাংলার দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্য এই ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে।”
সামাজিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এই প্রকল্পের লক্ষ্য শুধুমাত্র গৃহ নির্মাণ নয়, বরং গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। তিনি বলেন, “আমার জীবন জনগণের জন্য কাজ করার জন্য উৎসর্গ করেছি। বাংলার বাড়ি প্রকল্প তারই প্রমাণ।”
বিস্তারিত কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও বড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সমস্ত উপভোক্তাদের বাড়ি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ সরবরাহ করা হবে এবং প্রকল্পের অগ্রগতি সরাসরি তদারকি করা হবে।
