চিত্তরঞ্জন: আমলাদহি বাজারে ১৪৫ দোকান উচ্ছেদ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ

চিত্তরঞ্জন রেলনগরের আমলাদহি বাজারে রেল প্রশাসনের এক বড় পদক্ষেপে ১৪৫টি অবৈধ দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঐতিহাসিক বাজারটি গত ৫০-৬০ বছর ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং জনজীবনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। প্রশাসনের এই পদক্ষেপে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ এবং হতাশা দেখা দিয়েছে।

রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপ ব্যর্থ

বাজার বাঁচানোর জন্য বিজেপি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বামপন্থী সংগঠনগুলোর তরফে রেল প্রশাসনকে বারবার অনুরোধ করা হয়। স্থানীয় বিধায়ক ও পৌরসভা মেয়র বিধান উপাধ্যায়, বামপন্থী নেতা বংশগোপাল চৌধুরী, বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার এবং রাজ্য বিজেপি নেত্রী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

ব্যবসায়ীদের দাবি: বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে

বাজার ভাঙার ফলে ব্যবসায়ীরা শুধু তাদের জীবিকা হারিয়েছেন তা নয়, চিত্তরঞ্জন রেলনগরের সামাজিক বন্ধনেও গভীর আঘাত লেগেছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, রেল প্রশাসন যেন তাদের পরিবারের জীবিকা রক্ষার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করে।

আরও অবৈধ নির্মাণে অভিযানের প্রস্তুতি

সূত্র অনুযায়ী, খুব শীঘ্রই রাজনৈতিক দপ্তর, ক্লাব এবং অবৈধ সম্প্রসারণকারী রেল কোয়ার্টারগুলির বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হতে পারে। রেল প্রশাসনের সহকারী নিরাপত্তা কমিশনার সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন,
“এই অভিযানের জন্য সকল পক্ষের সম্মতি নেওয়া হয়েছিল। এর আগে দুইবার অভিযান স্থগিত করা হয়, তবে এবার তা নিরবচ্ছিন্নভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”

বুলডোজার চলল, নিরাপত্তার কড়া ব্যবস্থা

চারটি বুলডোজার একযোগে বাজারের দোকানগুলো ভেঙে দেয়। রেল প্রশাসন আগে থেকেই ব্যবসায়ীদের নোটিশ দিয়ে দোকান খালি করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই অভিযানের জন্য আরপিএফ ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ মোতায়েন ছিল।

অভিযানের সামাজিক প্রভাব

আমলাদহি বাজার শুধু ব্যবসায়ীদের আয়ের উৎস নয়, এটি স্থানীয় মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক কেন্দ্র ছিল। ব্যবসায়ীদের মতে, প্রশাসন এই বাজার ভেঙে একটি ঐতিহাসিক অংশকে ধ্বংস করেছে এবং তা পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

ghanty

Leave a comment