আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অন্তর্গত কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি এলাকায় সীতারামপুর-এথোড়া রোডে ৪ জুন রাতের অন্ধকারে উদ্ধার হয় এক যুবকের গলা কাটা দেহ। মৃত যুবকের নাম দেবজ্যোতি সিংহ, যিনি জামুড়িয়া থানার নিগা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
🔍 সহকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ:
মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগে সরাসরি আঙুল তোলা হয় পাম্মি শর্মা নামে এক ২৩ বছর বয়সী তরুণীর দিকে, যিনি পুরুলিয়া জেলার পারবেলিয়ার বাসিন্দা। দেবজ্যোতির সঙ্গে তার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের সম্পর্ক ছিল। পরিবারের দাবি, দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল, যা পরে বিতর্কে গড়ায়।
🕵️ বিবৃতি ঘেঁটে উঠল সন্দেহ, গ্রেফতার পাম্মি:
সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ পাম্মি শর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠায়। তার বিবৃতিতে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়ে, যা তদন্তকারী অফিসারদের সন্দেহ আরও জাগিয়ে তোলে। কড়া জেরার মুখে শেষপর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ।
⚖️ আসানসোল আদালতে পেশ, পুলিশের ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন:
গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পাম্মিকে আসানসোল জেলা আদালতে পেশ করা হয়। পুলিশ পক্ষ আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে, যাতে খুনের নেপথ্য কারণ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
🧩 রহস্য ঘনীভূত – প্রেম, প্রতিহিংসা না কি আর কিছু?
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে—
- পাম্মি কি একা ছিল?
- খুনের পেছনে কি ছিল সম্পর্কের জটিলতা?
- নাকি এই খুন কোনও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ?
পুলিশ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। তদন্তের পর হয়তো সামনে আসবে আরও বিস্ফোরক তথ্য।












