কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর বক্তব্য ঘিরে নতুন বিতর্কের জন্ম হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাজভবনের সূত্র জানিয়েছে, “রাজ্যপাল শিক্ষামন্ত্রীকে থামাতে না পারলে, রাজ্য প্রশাসনের কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”
রাজ্যপালের সমালোচনা: “পোস্ট বক্স” মন্তব্য
বুধবার, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন যে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগে ‘পোস্ট বক্স’-এর মতো আচরণ করছেন। তিনি বলেন, “রাজভবনের ভূমিকা সংবিধানের সীমারেখা পেরিয়ে যাচ্ছে।”
রাজভবনের প্রতিক্রিয়া
রাজভবনের এক কর্মকর্তা জানান, “শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ উদ্দেশ্যমূলক। মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের সম্পর্ক নষ্ট করাই তার লক্ষ্য।”
বিল নিয়ে বিতর্ক
বিধানসভায় ভবানীপুর গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বিল, ২০২৪ পেশ করার সময়, শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যপাল নির্ধারিত তালিকা অনুসরণ না করে নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন বলে তিনি দাবি করেন।
মুখ্যমন্ত্রীর ধৈর্যের সীমা
ব্রাত্য বসু আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন, তবে এর সীমা আছে। রাজ্যপাল যদি সংবিধান মেনে চলেন না, তবে শীঘ্রই তার আচরণ প্রশ্নের মুখে পড়বে।”
রাজ্যপালের “ভাই-বোন” সম্পর্কের মন্তব্য
রাজভবনে সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিভি আনন্দ বোসের এক বৈঠক হয়। বৈঠকের পর রাজ্যপাল মন্তব্য করেন, “মুখ্যমন্ত্রী এবং আমার মধ্যে ভাই-বোনের সম্পর্ক।”