পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় বড়সড় চাঞ্চল্যকর তথ্য। নির্বাচন কমিশনের (ECI) তদন্তে ১১টি বিধানসভা আসনে ২৫,০০০ ভোটার কার্ডের নম্বর এক বলে ধরা পড়েছে। এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
প্রধান দুই বিধানসভা আসনে সবচেয়ে বেশি ভুয়ো ভোটার কার্ড
বঙ্গ থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, বাগদা দক্ষিণ এবং মাটিগাড়া-নকশালবাড়ি বিধানসভা এলাকায় সর্বাধিক ভুয়ো ভোটার কার্ড পাওয়া গেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই দুই আসনের সীমান্ত পার্শ্ববর্তী দেশগুলির সাথে সংযুক্ত।
- বাগদা দক্ষিণ: বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী।
- মতিগাড়া-নকশালবাড়ি: নেপালের সীমান্তের কাছে।
এই ঘটনার পর ‘ভুয়ো ভোটার’ এবং বিদেশি নাগরিকদের ভারতীয় হিসেবে দেখানোর অভিযোগ ফের জোরালো হয়েছে।
অন্যান্য প্রভাবিত বিধানসভা আসনসমূহ
ভুয়ো ভোটার কার্ডের হদিশ পাওয়া অন্যান্য বিধানসভা কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে:
- মধ্যমগ্রাম
- রাজারহাট-গোপালপুর
- ক্যানিং পূর্ব
- বারুইপুর পূর্ব এবং পশ্চিম
- কার্সিয়াং
- শিলিগুড়ি
- বাগদা উত্তর
- ফালাকাটা
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ এবং তদন্ত
দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক প্রকাশিত খসড়া ভোটার তালিকায় প্রায় ৭.৪ কোটি নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ লক্ষ নাম বাদ দেওয়া বা সংশোধন করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি ভোটার কার্ড শারীরিকভাবে যাচাই করার জন্য এবং ডুপ্লিকেট নামগুলি মুছে ফেলার জন্য। এটি মানবিক ভুল না ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনার ফল, তা তদন্ত করা হচ্ছে।”
‘ভুয়ো ভোটার’ নিয়ে বিতর্কে নতুন মাত্রা
বাগদা এবং মতিগাড়া-নকশালবাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে পাওয়া এই তথ্য সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি বিদেশি নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।
বিজেপি এবং বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় বিজেপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে। তাদের দাবি, এই ধরণের ঘটনাগুলি নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতাকে নষ্ট করছে এবং গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা নষ্ট করছে।