• nagaland state lotteries dear

ড্রেনেজ নেই, রাস্তা বেহাল — জল জমলেই এলাকা জলমগ্ন

আসানসোল (পশ্চিম বর্ধমান) প্রতিবেদন: সঞ্জীব কুমার যাদব,:
আসানসোল পৌরনিগমের অধীন কুলটি বরো ৮-র অন্তর্গত ওয়ার্ড নম্বর ১৯-এর সুভাষ পাড়া এলাকায় টানা ভারী বৃষ্টিতে ফের সৃষ্টি হয়েছে চরম জলজট। প্রায় ১০০টিরও বেশি পরিবার এই জলজটে নাকাল হয়ে পড়েছে। রাস্তা-ঘাট, গলি-নর্দমা সব একাকার হয়ে গেছে।

ঘর থেকে স্কুল, অফিস — হাঁটু জলের যুদ্ধ
বৃষ্টির জলে রাস্তা ঢেকে যাওয়ায় শিশুরা স্কুলে যেতে পারছে না, কর্মজীবী মানুষকেও হাঁটু জল পেরিয়ে কাজের জায়গায় পৌঁছতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে, রাস্তাগুলির অবস্থাও বেহাল। সামান্য বৃষ্টিতেই গোটা এলাকা জলকাদায় ডুবে যাচ্ছে।

বারবার অভিযোগ, কিন্তু কাউন্সিলরের কোন সাড়া নেই
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই সমস্যা সম্পর্কে বারবার ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে জানানো সত্ত্বেও কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি। কাউন্সিলরের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই বিজেপি নেতা টিংকু বর্মার ঝটিকা পরিদর্শন
এই পরিস্থিতিতে কুলটি বিধানসভার বিজেপি নেতা টিংকু বর্মা বুধবার বৃষ্টির মধ্যে সুভাষ পাড়া এলাকায় পৌঁছান এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আশ্বাস দেন যে তিনি এই বিষয়টি আসানসোল পৌরনিগমের মেয়রের সামনে তুলবেন এবং দ্রুত সমাধানের জন্য লিখিত আবেদন করবেন।

টিংকু বর্মা বলেন:

“আমার অগ্রাধিকার হল এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা। সঠিক ড্রেনেজ এবং রাস্তা তৈরির দাবিতে আমি সরব হব। সাধারণ মানুষকে এই কষ্ট বারবার ভোগ করতে না হয়।”

মাস পিটিশনে স্বাক্ষর, বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
স্থানীয় বাসিন্দা ছোটন রাম বলেন, ওয়ার্ড ১৯-এর বুথ ২৫-এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল জলনিকাশি। তিনি জানান, ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এলাকার বাসিন্দারা একত্র হয়ে কুলটি বরো অফিসে গিয়ে একটি গণস্বাক্ষরিত আবেদনপত্র (Mass Petition) জমা দেন।

এই আবেদনপত্রে বিক্রম পটেল, রামজি সাও, দিনেশ কুমার সহ বহু মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
স্থানীয়রা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন,

“এই সমস্যা যদি শীঘ্র সমাধান না হয়, তাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।”

ghanty

Leave a comment